রাজস্থান রয়্যালসে এক মৌসুমেই শেষ হয়ে গেল রাহুল দ্রাবিড়ের কোচিং অধ্যায়। শনিবার এক বিবৃতিতে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি জানায়, দ্রাবিড়কে আরও বড় দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলেও তিনি তা গ্রহণ করতে রাজি হননি।
আইপিএল ২০২৫- এ ভরাডুবির পরই এ সিদ্ধান্ত। ১৪ ম্যাচে মাত্র চার জয়ে নবম স্থানে ছিল রাজস্থান, যা ২০২১ সালের পর তাদের সবচেয়ে বাজে পারফরম্যান্স। মৌসুম শেষে কাঠামোগত পর্যালোচনার অংশ হিসেবে দ্রাবিড়ের বিদায়ের খবর নিশ্চিত করা হয়। এর আগে দলের নিয়মিত অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনও ফ্র্যাঞ্চাইজিকে বিদায়ের অনুরোধ জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আইপিএল ২০২৬ শুরুর আগেই রাহুল দ্রাবিড়ের কোচিং অধ্যায় শেষ হবে। রাহুল বহু বছর ধরে রয়্যালসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর নেতৃত্ব এক প্রজন্মের ক্রিকেটারদের অনুপ্রাণিত করেছে, দলকে শিখিয়েছে দৃঢ় মূল্যবোধ, আর ফ্র্যাঞ্চাইজির সংস্কৃতিতে রেখে গেছেন স্থায়ী ছাপ।”
দলের নিলাম কৌশল এবং রিটেনশনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন দ্রাবিড়। চলতি মৌসুমে স্যামসন, যশস্বী জয়সওয়াল, ধ্রুব জুরেল, রিয়ান পরাগ ও শিমরন হেটমায়ারকে ধরে রেখেছিল রাজস্থান। কিন্তু ইনজুরি ও শেষ মুহূর্তের ব্যর্থতায় মৌসুমটা ভেস্তে যায়।
রাজস্থানের সঙ্গে দ্রাবিড়ের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ২০১১ সালে খেলোয়াড় হিসেবে যোগ দিয়ে দুই মৌসুম অধিনায়কত্ব করেন। পরে ২০১৪ ও ২০১৫ সালে ছিলেন টিম ডিরেক্টর ও মেন্টর। তাঁর বিদায়ের পর অন্তত দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি- রাজস্থান ও কলকাতা নাইট রাইডার্স এখন কোচবিহীন। গত মাসে চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত দায়িত্ব ছাড়েন কেকেআরের, যদিও তিনি ২০২৪ সালে দলকে এনে দিয়েছিলেন শিরোপা। অন্যদিকে, লখনৌ সুপার জায়ান্টসও সাপোর্ট স্টাফে বড় পরিবর্তন আনছে, সম্প্রতি বোলিং কনসালট্যান্ট হিসেবে যুক্ত করেছে ভি অরুণকে।
এখনও দলে রয়েছেন কুমার সাঙ্গাকারা (ডিরেক্টর অব ক্রিকেট), বিক্রম রাঠোর (ব্যাটিং কোচ) ও শেন বন্ড (বোলিং কোচ)। ২০০৮ সালে প্রথম আসরে শিরোপা জেতার পর আর কখনো চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি রাজস্থান। ২০২২ সালে একবার রানার্সআপ হয়েছিল গুজরাট টাইটান্সের কাছে হেরে।

