রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

সুযোগ পেলে ক্রিকেটের যে নিয়ম বদলাতে চান শচীন টেন্ডুলকার

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ আগস্ট ২০২৫, ০৩:২৬ পিএম

শেয়ার করুন:

সুযোগ পেলে ক্রিকেটের যে নিয়ম বদলাতে চান শচীন টেন্ডুলকার

‘ক্রিকেটের ঈশ্বর’ খ্যাত শচীন টেন্ডুলকার এবার ভক্তদের সঙ্গে আড্ডায় মুখোমুখি হলেন রেডিটের ‘আস্ক মি এনিথিং’ সেশনে। সেখানে তিনি শুধু ছেলের বাগদান নিয়ে কথা বলেননি, মজার ছলে আধার কার্ড দেখিয়ে প্রমাণ করার কথাও বলেছেন যে সত্যিই তিনিই ভক্তদের সঙ্গে আছেন। পাশাপাশি ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে কেন তিনি যুবরাজ সিংয়ের আগে এমএস ধোনিকে ব্যাটিংয়ে পাঠাতে গ্যারি কারস্টেনকে পরামর্শ দিয়েছিলেন তাও জানিয়েছেন।

কিন্তু সবচেয়ে আলোচনায় আসে একটি প্রশ্নের উত্তরে শচীনের খোলাখুলি মত। আর সেটি জড়িত ক্রিকেট খেলার সাথেই। শচীনের এমন মত শুনে এখনকার ব্যাটাররা আবার বিরক্তও হতে পারেন। কিংবদন্তি এই ব্যাটার জানিয়েছেন, ডিআরএসে থাকা ‘আম্পায়ারস কল’ নিয়ম তিনি একেবারেই চান না।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন- আর্জেন্টিনার সর্বকালের সেরা ৫ ফুটবলারের নাম জানালেন ডি মারিয়া

আরও পড়ুন- টেইলর সুইফট নাকি রোনালদো- কার বাগদানের আংটির দাম বেশি?

ডিআরএস বা Decision Review System চালুর পর থেকেই ক্রিকেটে নতুন এক জটিল শব্দ এসেছে। তা হলো “আম্পায়ারস কল”। মূলত যখন কোনো ব্যাটার মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হয়ে তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে যান, তখন বল-ট্র্যাকিং প্রযুক্তি ও রিপ্লে দেখা হয়। বিশেষ করে এলবিডব্লিউর ক্ষেত্রে যদি বলের কমপক্ষে ৫০ শতাংশ উইকেটে না লাগে, তখন মাঠের আম্পায়ারের আগের সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। এটিই ‘আম্পায়ারস কল’। এছাড়াও আম্পায়ারস কলের আরও কিছু দিক আছে।

ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক নাসের হুসেইন একাধিকবার এই নিয়ম নিয়ে দারুণভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আইসিসিও বলছে, ডিআরএসে বল যদি প্রভাব জোন (Impact Zone) বা উইকেট জোনে সামান্য স্পর্শ করে, কিন্তু নিশ্চিতভাবে আউট প্রমাণ না হয়, তাহলে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত ধরা হবে।


বিজ্ঞাপন


Sachin-AMA

কিন্তু এর বিপক্ষে শচীন। তিনি একেবারেই এই নিয়ম মানতে নারাজ। তাঁর ভাষায়, “খেলোয়াড়েরা মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হয়ে তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে যান। সেখানে আবার সেই সিদ্ধান্তেই ফিরে যাওয়ার মানে হয় না। খেলোয়াড় যেমন খারাপ সময় কাটায়, আম্পায়ারদেরও খারাপ সময় আসে। প্রযুক্তি হয়তো শতভাগ নিখুঁত নয়, কিন্তু অন্তত ধারাবাহিকভাবে একই ভুল করবে।”

cricket-what-is-umpires-call

ডিআরএস নিয়ে শচীনের অসন্তোষ নতুন নয়। আগেও বলেছেন, সিস্টেমে সমস্যা আছে। আকাশ চোপড়ার ইউটিউব চ্যাটে শেয়ার করেছিলেন ২০০৮ সালের শ্রীলঙ্কা সফরের অভিজ্ঞতা। তখনও সিস্টেমের নাম ছিল ইউডিআরএস।

শচীন বলেন, “ওই সিরিজে আমরা মোট ২০ বার রিভিউ নিয়েছিলাম, তার মধ্যে ১৫টা ভারতের পক্ষ থেকে। অথচ আমাদের পক্ষে গিয়েছে মাত্র একটি! হয়তো আমরা এলবিডব্লিউ ভালোভাবে বুঝতে পারিনি, নইলে সিস্টেমেই সমস্যা ছিল।”

শচীনের মতে, বল যদি উইকেটে লাগে, সেটা ৪৯% হোক আর ৫১%, তা আউট ধরা উচিত। “আমি মনে করি, বল যখন উইকেটে আঘাত করে, তখন সেটা বিভিন্ন দিক থেকে লাগে- কেন্দ্র, ডান, বাম বা নিচ দিয়ে। তাই বল যদি স্টাম্পে লাগে, শতাংশ যাই হোক না কেন, আউট ধরা উচিত।”

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর