ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ওডিআই সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে বড় ব্যবধানে হারের পর পাকিস্তান দলকে একহাত নিলেন শোয়েব আখতার। সাবেক এই পেসার স্পষ্ট করে বলেছেন, যতদিন ফাস্ট বোলারদের সহায়ক কন্ডিশনে খেলতে হবে, ততদিন পাকিস্তানের ব্যাটিং ব্যর্থতা ধরা পড়তেই থাকবে।
ম্যাচ-পরবর্তী আলোচনায় আখতার সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন পাকিস্তানের সাদা বলের ক্রিকেটের কোচ মাইক হেসনের ভূমিকা নিয়েও। তার মতে, "মাইক হেসন ভালো টি-টোয়েন্টি কোচ হতে পারেন, কিন্তু ওডিআই ফরম্যাটে তার পরিকল্পনা বোঝা যাচ্ছে না।" তিনি আরও বলেন, "এই ফরম্যাটে মানসম্পন্ন খেলোয়াড় না খেলালে এমনই হবে।"
বিজ্ঞাপন
শুধু কোচিং নয়, আখতারের অভিযোগ সরাসরি গিয়ে পড়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের ভুল সিদ্ধান্তের দিকে। খেলোয়াড়দের দায় না দিয়ে তিনি বলেন, "এটা খেলোয়াড়দের দোষ নয়, এটা দুর্বল নীতিমালার ফল। সিমিং কন্ডিশনে নামলেই ধরা পড়বে আমাদের দুর্বলতা। এখন নতুন নামে বলা হচ্ছে, কম্বিনেশন তৈরি করা হচ্ছে!"

আখতারের মতে, ওডিআই ফরম্যাটে সাফল্য পেতে হলে সব বিভাগেই পরীক্ষিত পারফর্মার দরকার, "যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনি নির্ভরযোগ্য অলরাউন্ডার, ব্যাটার, পেসার, স্পিনার খেলাবেন, ততক্ষণ পূর্ণ ৫০ ওভার খেলাই সম্ভব নয়। কষ্ট করে টিকে থাকা যাবে না এই ফরম্যাটে।" তিনি ঠাট্টার ছলে আরও বলেন, "ভাগ্য ভালো, প্যাট কামিন্স আর মিচেল স্টার্ক এখানে ছিল না। এরকম পেস সহায়ক কন্ডিশনে নামলেই আমাদের দুর্বলতা বেরিয়ে আসবে।"
পাকিস্তান দলের এই হারের প্রেক্ষাপটে ইতিহাস গড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩৪ বছর পর প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে ওডিআই সিরিজ জিতেছে তারা, ২-১ ব্যবধানে।এই সাফল্য ক্যারিবিয়ানদের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। কারণ, এর আগে টানা ১০টি সিরিজে পাকিস্তানের কাছে হেরে এসেছিল তারা। সর্বশেষ ১৯৯১ সালে পাকিস্তান সফরে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তখন দুই দলের অধিনায়ক ছিলেন রিচি রিচার্ডসন ও ইমরান খান।
বিজ্ঞাপন

সিরিজের শেষ ম্যাচে ব্রায়ান লারা ক্রিকেট একাডেমিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তোলে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৯৪ রান। অধিনায়ক শাই হোপ খেলেন দুর্দান্ত ১২০ রানের ইনিংস, ৯৪ বলে হাঁকান ১০টি চার ও ৫টি ছক্কা। তার সঙ্গে ১১০ রানের জুটি গড়েন জাস্টিন গ্রিভস, যার ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে ৪৩ রান। এভিন লুইস (৩৭) ও রস্টন চেজ (৩৬) দারুণ অবদান রাখেন।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে পুরোপুরি ব্যর্থ পাকিস্তান। ২৯.২ ওভারে মাত্র ৯২ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। ম্যাচ হারে ২০২ রানের বিশাল ব্যবধানে। অধিনায়ক ও অলরাউন্ডার সালমান আলী আঘা করেন সর্বোচ্চ ৩০ রান। মোহাম্মদ নওয়াজ অপরাজিত থাকেন ২৩ রানে। হাসান নওয়াজ যোগ করেন ১৩ রান।
তবে টপ অর্ডারে ছিল চরম ধস। সাইম আয়ুব, আবদুল্লাহ শফিক, মোহাম্মদ রিজওয়ান, হাসান আলি ও আবরার আহমেদ- পাঁচজনই আউট হন শূন্য রানে!

