২০২৪-২৫ মৌসুমে ভয়াবহ পারফরম্যান্স ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। এ কারণে অনেক ম্যাচ খেলতে যাওয়ার আগে হতাশা কাজ করত প্রধান কোচ রুবেন আমোরিমের মনে। আমোরিম আজ নিজেই অকপটে স্বীকার করেছেন সে কথা। প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতিতে যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে এক সাক্ষাৎকারে আমোরিম বলেন, “ম্যাচের আগেই ভয় ধরত। জানতাম, আমরা লড়াই করতে পারব না। ওই অনুভূতিটাই ছিল সবচেয়ে বাজে।”
গত মৌসুমে ইউনাইটেড প্রিমিয়ার লিগে ১৫তম অবস্থানে থেকে শেষ করে, যা ১৯৮৯-৯০ সালের পর তাদের সবচেয়ে বাজে পারফরম্যান্স। শেষ মুহূর্তে রেলিগেশন জোন থেকে রক্ষা পেয়েছিল রেড ডেভিলরা।
বিজ্ঞাপন
২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে এরিক টেন হ্যাগ বরখাস্ত হলে কোচের দায়িত্ব নেন আমোরিম। কিন্তু শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। তার অধীনে ২৭টি লিগ ম্যাচে জয় এসেছে মাত্র সাতটিতে। ইউরোপা লিগের ফাইনালে টটেনহামের কাছে বেদনাদায়ক হারে মৌসুম শেষ করে ইউনাইটেড।
মৌসুম জুড়ে বাজে পারফরম্যান্স সত্ত্বেও আমোরিম তার কৌশলগত দর্শন থেকে একচুলও সরে আসেননি। একপর্যায়ে টানা চার ম্যাচে হার এবং পরে ১১ ম্যাচে মাত্র তিন জয়। এসবের পরও নিজের কৌশল ধরে রেখেছেন তিনি। “পরিস্থিতি খারাপ হলে অনেকেই নিয়মকানুন শিথিল করে ফেলেন খেলোয়াড়দের মন জেতার জন্য। আমি তা করিনি। খেলোয়াড়রাও সেটা দেখেছে। এখন তারা জানে, আমি যা বলি তাতে অটল থাকি,” বলেন আমোরিম।
তিনি আরও জানান, মাঠ ও ড্রেসিংরুমে একটি শক্তিশালী সংস্কৃতি গড়ে তুলতে তিনি ছয়জন খেলোয়াড়ের নেতৃত্বে একটি দল তৈরি করেছেন। ব্রুনো ফার্নান্দেজ, হ্যারি ম্যাগুয়ের, টম হিটন, দিয়োগো ডালট, লিসান্দ্রো মার্টিনেজ এবং নতুন আসা নুসাইর মাজরাউই। “আমি ওদের শিশুর মতো দেখি না। কিন্তু নিয়ম আছে, অনুশীলনে ঢিলেমি করলে তার ভিডিও আছে আমার কাছে, আমি সেটা পুরো দলকে দেখাব,” বলে হুঁশিয়ারি দেন কোচ।
স্পোর্টিং সিপি ছেড়ে মাঝ মৌসুমে ইউনাইটেডে আসাটাই কি ভুল ছিল? এমন প্রশ্নে আমোরিম বলেন, “কঠিন সময় গেছে। কিন্তু ইউরোপের কোন বড় ক্লাব এত ম্যাচ হেরে আবার কোচকে রাখে? এর মাধ্যমে তারা আমাকে মৌখিক নয়, বাস্তব সমর্থন দেখিয়েছে।” আমোরিম বলেন, “এই ক্লাব বেছে নিতে আমার পাঁচ বছর সময় লেগেছে। আমি ব্যর্থ হতে চাই না। ২০ বছর এখানে কোচ থাকতে চাই, এটাই আমার স্বপ্ন।”
বিজ্ঞাপন
ইউনাইটেডের মালিক স্যার জিম র্যাটক্লিফের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কের কথা জানান আমোরিম। “জিমের সঙ্গে কাজ সহজ, যদি আপনি জানেন আপনি কী করছেন। আমি আমার জায়গা জানি, উনি মালিক। কিন্তু যেটা বলা দরকার, সেটা সরাসরি বলি। আমার মনে হয়, উনি সেটা সম্মান করেন।”

