নতুন রূপে আয়োজিত ক্লাব বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে মাঠের লড়াইয়ের পাশাপাশি অর্থের ঝনঝনানিতে। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ৩২টি ক্লাব নিয়ে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টে ফুটবলের পাশাপাশি আলোচনার মূল বিষয় হয়ে উঠেছে ফিফার দেওয়া বিপুল অঙ্কের প্রাইজমানি।
ফিফার ঘোষণা অনুযায়ী, অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলোর মধ্যে মোট ১ বিলিয়ন ডলার ( ১২ হাজার ১৫০ কোটি টাকার সমান বাংলাদেশি টাকায়) ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫২৫ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে সব ক্লাব সমানভাবে অংশগ্রহণ ফি হিসেবে। বাকি ৪৭৫ মিলিয়ন ডলার ভাগ হয়েছে পারফরম্যান্স বা সফলতার ভিত্তিতে।
বিজ্ঞাপন
ইংলিশ ক্লাব চেলসি টুর্নামেন্টে শিরোপা জিতে আয় করেছে সবচেয়ে বেশি ৮৪ মিলিয়ন পাউন্ড। এই অর্থ দিয়ে তারা ইতোমধ্যেই গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোর অর্ধেক খরচ পূরণ করে ফেলেছে। রানার্সআপ পিএসজি পেয়েছে ৭৮.৪ মিলিয়ন পাউন্ড।
অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলোর আয় অঞ্চলের ভিন্নতায় পরিবর্তিত হয়েছে:
ইউরোপীয় ক্লাবগুলো গড়ে পেয়েছে ৩৯ মিলিয়ন পাউন্ড
দক্ষিণ আমেরিকা: গড়ে ২৪ মিলিয়ন পাউন্ড
বিজ্ঞাপন
এশিয়া, আফ্রিকা ও কনকাকাফ: গড়ে ৯.৫৫ মিলিয়ন পাউন্ড
ওশেনিয়া (যেমন অকল্যান্ড সিটি): গড়ে ৩.৫৮ মিলিয়ন পাউন্ড
নতুন আলোচনায় এসেছে অকল্যান্ড সিটি, একটি অপেশাদার ক্লাব হয়েও আয় করেছে ৩.৩ মিলিয়ন পাউন্ড, যা তাদের ২০২৪ সালের মোট আয়ের সাতগুণ।
ম্যাচভিত্তিক পুরস্কার
গ্রুপ পর্বে প্রতি জয়: ১.৫ মিলিয়ন পাউন্ড
ড্র: ৭.৩ লাখ পাউন্ড
তবে পাচুকা ও সিয়াটল সাউন্ডার্সসহ পাঁচটি ক্লাব টুর্নামেন্টে সব ম্যাচ হেরে গেছে, ফলে তারা কেবল অংশগ্রহণের অর্থই পেয়েছে।

