শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সফরের আগের দুই ফরম্যাটে (টেস্ট ও ওয়ানডে) সিরিজ হেরে গেছে বাংলাদেশ। টেস্ট সিরিজ ১-০ ব্যবধানে ও ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে খুইয়েছে টাইগাররা। তাই টি-টোয়েন্টি সিরিজটি বাংলাদেশের জন্য কেবল নিয়মরক্ষার লড়াই নয়, এটি আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার সুযোগ।
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে আজ পাল্লেকেলেতে মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার খেলা। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হবে প্রথম ম্যাচ।
বিজ্ঞাপন
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এখন পর্যন্ত ১৭ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। এর মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে ৬টি ম্যাচ, আর শ্রীলঙ্কা জিতেছে ১১টি ম্যাচ। এই পরিসংখ্যান থেকেই বোঝা যায়, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশর জয়ের ধারাবাহিকতা নেই। তবে ছোট ফরম্যাটে যেকোনো সময় পাল্টে যেতে পারে চিত্র, এবারের সিরিজে টাইগারদের সেই চেষ্টাই থাকবে।
এই সিরিজের বড় একটি দিক হলো নেতৃত্বে পরিবর্তন। সফরের শুরুতে দুই ফরম্যাটের অধিনায়ক ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে ওয়ানডে সিরিজের আগে তাকে সরিয়ে দিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয় মেহেদী হাসান মিরাজকে। টেস্ট সিরিজের পর শান্ত নিজেই অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন। টি-টোয়েন্টিতে এখন দলের নেতৃত্বে লিটন দাস। টেস্ট ফরম্যাটে এখনো নির্ধারিত হয়নি নতুন অধিনায়ক।
নেতৃত্বের এই অস্থিরতা মাঠের পারফরম্যান্সেও প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করছেন অনেকেই। তবু টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় আছে বাংলাদেশ। সিরিজ শুরুর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে লিটন বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি সিরিজ টি-টোয়েন্টি সিরিজের জায়গায় আছে। এটা আলাদা সংস্করণ। আমরা সবাই জানি এই সংস্করণে কেমন খেলতে হয়। সেই অনুযায়ী মাঠে ভালো কিছু করার চেষ্টা করব।’
শ্রীলঙ্কার কন্ডিশনে বরাবরের মতো এবারও চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের জন্য। তবে ছোট ফরম্যাটে ব্যাটসম্যানরা যদি আগ্রাসী ভঙ্গিতে খেলেন, তাহলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ভালো সুযোগ রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
লিটনের ভাষায়, ‘নিজেদের মাঠে শ্রীলঙ্কা ভালো দল, অভিজ্ঞতাও বেশি। তাদের কিছু রহস্য বোলার আছে, বোলিং আক্রমণও ভালো। আমাদের সেটা মোকাবিলা করেই ভালো খেলতে হবে। টি-টোয়েন্টি এমনই, নির্দিষ্ট দিনে কয়েকজন ভালো খেললেই ফল ঘুরে যায়।’
লিটন দাসের জন্যও এটি একটি বড় পরীক্ষা। তার টি-টোয়েন্টি অভিজ্ঞতা ও দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দলকে সঠিক পথে নিতে পারে কি না, সেটাই দেখার বিষয়।

