উইম্বলডনের সেন্টার কোর্টে শুরুটা ছিল বাজে, তবে ম্যাচের মাঝপথে নিজেকে টেনে তুললেন, আর শেষ পর্যন্ত ইতিহাসের পথে এগিয়ে চললেন নোভাক জোকোভিচ। অস্ট্রেলিয়ান তারকা অ্যালেক্স ডি মিনোরকে হারিয়ে ক্যারিয়ারে ১৬তম উইম্বলডন কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছেন সার্বিয়ান এই কিংবদন্তি।
সোমবারের ম্যাচে প্রথম সেটে হতাশাজনকভাবে ১-৬ গেমে হেরে গেলেও পরের তিন সেটেই ৬-৪, ৬-৪, ৬-৪ ব্যবধানে ঘুরে দাঁড়ান সাতবারের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন। এই জয়ের ফলে জোকোভিচ এখনো রয়ে গেলেন রেকর্ড ২৫তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের পথে, যা হতে পারে তাঁর অবিশ্বাস্য ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন। আর যদি এবারের ট্রফিটা জিততে পারেন, তাহলে তিনি রজার ফেদেরারের সঙ্গে যৌথভাবে আটবার করে উইম্বলডন জেতার রেকর্ডে ভাগ বসাবেন।
বিজ্ঞাপন
রয়্যাল বক্স থেকে ম্যাচটি উপভোগ করছিলেন ফেদেরার নিজেই। সেই কিংবদন্তি যার সঙ্গে জোকোভিচের দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা টেনিস ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে। তার সামনে জোকোভিচকে কিছুটা নড়বড়ে দেখালেও শেষ পর্যন্ত জয়ের রাস্তাটাই ঠিক ঠাক খুঁজে নিলেন তিনি। ম্যাচের শুরুটা ছিল জোকোভিচের জন্য দুঃস্বপ্নের মতো। প্রথম গেমেই ব্রেক করে বসেন ডি মিনোর। প্রথম সেটে মোট তিনবার সার্ভিস হারান জোকোভিচ। এর মাঝে করেন ১৬টি আনফোর্সড এরর, যার মধ্যে ছিল চারটি ডাবল ফল্ট।

দ্বিতীয় সেটে শুরুতেই ব্রেক নেন জোকোভিচ, কিন্তু এরপর একটানা ১৯ মিনিটের এক গেমে ছয়টি ব্রেক পয়েন্ট মোকাবেলা করে সেটটি ফেরত নেন ডি মিনোর। তবে ধীরে ধীরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন সার্বিয়ান তারকা। তৃতীয় সেটে দুজনেই সার্ভ ধরে রাখছিলেন। নবম গেমে এসে ডি মিনোর একটি ফরহ্যান্ড বাইরে মেরে বসেন, আর সেখানেই হয় ব্রেক, যেটি ছিল ম্যাচের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।
চতুর্থ সেটে আবার দারুণভাবে ফিরে আসেন ডি মিনোর। ৪-১ গেমে এগিয়ে যান। কিন্তু এই এগিয়ে যাওয়াটাই যেন তার জন্য চাপ হয়ে দাঁড়ায়। এরপর একের পর এক পাঁচটি গেম জিতে ম্যাচ নিজের করে নেন জোকোভিচ। শেষ আটে জোকোভিচের প্রতিপক্ষ ইতালিয়ান ২২তম বাছাই ফ্ল্যাভিও কোবোল্লি। আর যদি সে ম্যাচেও জয় পান, তাহলে সেমিফাইনালে দেখা হতে পারে বর্তমান নাম্বার ওয়ান ইয়ানিক সিনারের সঙ্গে।

