মাত্র ১৪ বছর বয়সে ইতিহাস গড়লেন ভারতের বৈভব সূর্যবংশী। যুব ওয়ানডে ইতিহাসের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড এখন তার দখলে। মাত্র ৫২ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে এনে দিলেন ৫৫ রানের জয়, সঙ্গে সিরিজও নিজেদের করে নিল ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
ওরচেস্টারে ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে ভারতের ইনিংস থামে ৯ উইকেটে ৩৬৩ রানে। দুই দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে গড়ে ওঠে এই বড় সংগ্রহ। বৈভব সূর্যবংশী খেলেন ৭৮ বলে ১৪৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস, যেখানে ছিল ১৩ চার ও ১০ ছক্কা। তার সঙ্গী ভিহান মালহোত্রাও কম যাননি, ১২১ বলে ১২৯ রানের ক্লাসি ইনিংস।
বিজ্ঞাপন
এই দুইজন মিলে মাত্র ২৪ ওভারে দ্বিতীয় উইকেটে যোগ করেন ২১৯ রান। ভারতের স্কোর তখন ২৭ ওভারে ২৩৩/১, দেখেই মনে হচ্ছিল ৪০০ পেরিয়ে যাবে তারা। কিন্তু ইংল্যান্ড তখন ঘুরে দাঁড়ায়। ওরচেস্টারশায়ারের জ্যাক হোম ৪ উইকেট নেন ৬৩ রানে, মিডলসেক্সের সেবাস্টিয়ান মরগান যোগ করেন আরও ৩ উইকেট ৫৪ রানে।
ইংল্যান্ডের জবাবটা শুরুতে ছিল শক্তপোক্ত। ওপেনার জো মুরস (৫২) ও বেন ডকিন্স (৬৭) মিলে ১৪ ওভারে যোগ করেন ১০৪ রান। কিন্তু এরপরেই ঘুরে দাঁড়ায় ভারত।স্পিনার নামান পুষ্পক এক ওভারেই নেন দুই উইকেট, মুরস লং অনে ক্যাচ তোলেন, পরের বলেই মায়েস এলবিডব্লিউ। ডকিন্স ৪১ বলে ফিফটি করলেও তার ইনিংস থেমে যায় চৌহানের বলে লং অফে ক্যাচ দিয়ে।
তবে ব্যাট হাতে লড়াই চালিয়ে যান রকি ফ্লিনটফ। ৪১ বলে ফিফটি, এরপর একপ্রান্ত ধরে রাখেন। টমাস রিউয়ের সঙ্গে ৯ ওভারে ৬০ রানের জুটি জমে উঠেছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য! ফ্লিনটফের শট বোলারের হাতে লেগে স্টাম্পে লাগলে নন-স্ট্রাইকে থাকা রিউ রান আউট হন মাত্র ১৯ রানে। এরপর আসে আরও দুটি রান আউট। অ্যালবার্ট রান নিতে গিয়ে ফ্লিনটফের ডাকে বিভ্রান্ত হয়ে ফেরেন, পরের রান আউটটা হয় মালহোত্রার সরাসরি থ্রোয়ে।
শেষ ১০ ওভারে দরকার ছিল ১০৫ রান, হাতে মাত্র কয়েকজন টেলএন্ডার। ফ্লিনটফ শতক করেন ৮৮ বলে, কিন্তু জয় এনে দিতে পারেননি। ইংল্যান্ড অলআউট ৩০৮ রানে, ৪৫.২ ওভারে। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ভারত অনূর্ধ্ব-১৯। সিরিজের শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সোমবার, একই মাঠে- ওরচেস্টারের নিউ রোডে।
বিজ্ঞাপন
জয়ের পর বৈভব জানান, শুবমান গিলের ব্যাটিং তাকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত করে। রেকর্ড সেঞ্চুরির ইনিংসেও কোনো ‘স্লগ’ শট খেলেননি, ছিল কেবল নিখুঁত টাইমিং, দারুণ প্লেসমেন্ট আর দাপুটে আত্মবিশ্বাস। ১৪ বছর বয়সে এমন ম্যাচজয়ী ইনিংস- সত্যিই ব্যতিক্রমী।