সুনীল গাভাস্কার, রাহুল দ্রাবিড়, শচীন টেন্ডুলকার কিংবা রবি শাস্ত্রী- এবার তাদের সবার রেকর্ডকে ছাপিয়ে গেলেন শুভমান গিল। ইংল্যান্ডের মাটিতে ভারতের ব্যাটারদের মধ্যে টেস্টে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস এখন গিলের দখলে।
চলতি বছরের এজবাস্টন টেস্টে ২৬৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে এই কীর্তি গড়েছেন গিল। নিচে দেখে নেওয়া যাক ইংল্যান্ডে ভারতের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ ৫ ব্যক্তিগত ইনিংস কোনটি ছিল।
বিজ্ঞাপন
১. শুভমান গিল - ২৬৯ রান, এজবাস্টন, ২০২৫
হেডিংলিতে প্রথম টেস্টে ১৪৭ রানের ইনিংস খেলার পর গিল বলেছিলেন, “আরও বড় ইনিংস খেলতে হতো।” এজবাস্টনে সেই কথা রাখলেন ভারতের তরুণ ব্যাটার। ব্যাটিংয়ের জন্য সহায়ক কন্ডিশনে গিল ছিলেন দুর্দান্ত। ঝুঁকিমুক্ত শটে একের পর এক বাউন্ডারি আদায় করেছেন, প্রতিপক্ষকে দেননি কোনো সুযোগ। অবশেষে তুলে নেন নিজের প্রথম টেস্ট ডাবল সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় দিনের মধ্য সেশনে তিনি গড়েন ইংল্যান্ডে ভারতের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ড।
২. সুনীল গাভাস্কার - ২২১ রান, দ্য ওভাল, ১৯৭৯
চতুর্থ ইনিংসে খেলেছেন এক কিংবদন্তি ইনিংস। ম্যাচ জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ছিল ৪৩৮ রান। গাভাস্কার একাই টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন দলকে প্রায় জয়ের দ্বারপ্রান্তে। আট ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ব্যাট করে খেলেন ২২১ রানের ইনিংস। শেষ পর্যন্ত সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় ১০ রান দূরেই থেমে যায় ভারতের জয়যাত্রা, হাতে ছিল তখনো দুটি উইকেট।
৩. রাহুল দ্রাবিড় - ২১৭ রান, দ্য ওভাল, ২০০২
২০০২ সালের ইংল্যান্ড সফরে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে দ্রাবিড় এর আগেই দুটি সেঞ্চুরি করেছিলেন। সিরিজ ছিল ১-১ সমতায়। ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে তোলে ৫১৫ রান। এর জবাবে দ্রাবিড় ব্যাট হাতে এক ধৈর্যশীল ইনিংস খেলেন তিন ও চতুর্থ দিনে, যা সিরিজে তার রান সংখ্যা ৬০০-এর ওপরে নিয়ে যায়। ম্যাচটি ড্র হয়, সিরিজও শেষ হয় সমতায়।
৪. শচীন টেন্ডুলকার - ১৯৩ রান, হেডিংলি, ২০০২
এই ইনিংসটি এসেছে ভারতের ইংল্যান্ড সফরের অন্যতম স্মরণীয় জয়ের ম্যাচে। দ্রাবিড় ও সঞ্জয় বাঙ্গারের ইনিংস গড়ার পর মাঠে নামেন শচীন। দ্বিতীয় দিনের সন্ধ্যায়, আলো কম থাকলেও থামেননি তিনি। তিনটি ছক্কা মেরে ঝড় তুলেছিলেন। ডাবল সেঞ্চুরি না পেলেও, ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ৬২৮ রানে। আর সেই ম্যাচেই তারা জয় পায় ইনিংস ব্যবধানে।
বিজ্ঞাপন
৫. রবি শাস্ত্রী - ১৮৭ রান, দ্য ওভাল, ১৯৯০
১৯৯০ সালে শ্রীকান্ত বাদ পড়লে শাস্ত্রীকে ওপেনিংয়ে নামায় ভারত। লর্ডসে সেঞ্চুরির পর ওভালে খেলেন বিশাল ইনিংস—৪৩৬ বল মোকাবেলা করে করেন ১৮৭ রান। ভারতের ইনিংস দাঁড়ায় ৬০৬ রান। ইংল্যান্ড ফলো-অন খেললেও ম্যাচ বাঁচিয়ে নেয় এবং সিরিজ জিতে নেয় ১-০ ব্যবধানে।