এজবাস্টনে শতরান করে ইতিহাস গড়লেন ভারতের অধিনায়ক শুবমান গিল। ইংল্যান্ডের মাটিতে চলতি টেস্ট সিরিজে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করে বিরল এক কীর্তি অর্জন করেছেন ২৫ বছর বয়সী এই তরুণ ব্যাটসম্যান। বিদেশি অধিনায়ক হিসেবে ইংল্যান্ডে এক সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে শতক করা মাত্র নবম ক্রিকেটার হলেন তিনি।
বুধবার সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে এজবাস্টনের প্রথম দিনেই ১৯৯ বল খেলে অপরাজিত ১১৪ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন গিল। এর আগে হেডিংলিতে প্রথম টেস্টে করেছিলেন ১৪৭ রান। টানা দুই শতকে তিনি নাম লেখালেন ক্রিকেট কিংবদন্তি ডন ব্র্যাডম্যান, গারফিল্ড সোবার্স, মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও গ্রায়েম স্মিথদের পাশে।
বিজ্ঞাপন
দিনের শুরুতে গিলের সঙ্গে ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল গড়েন শক্ত ভিত। জয়সওয়াল ৮৭ রানের একটি ঝকঝকে ইনিংস খেলেন। তবে মধ্যপর্যায়ে ১৯৮-৩ থেকে ২১১-৫ এ পড়ে গিয়ে ভারতের ইনিংস কিছুটা নড়বড়ে হয়ে পড়ে। সেই সময় গিলের সঙ্গে ব্যাট হাতে দৃঢ়তা দেখান রবীন্দ্র জাদেজা। দুজনের ৯৯ রানের অপরাজিত জুটিতে দিন শেষে ৫ উইকেটে ৩১০ রান নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভারত।
গিলের অধিনায়কত্ব ও ব্যাটিং প্রশংসা কুড়িয়েছে দলের ভেতরেও। দিনের খেলা শেষে যশস্বী জয়সওয়াল বলেন, ‘আমি মনে করি ও দারুণ ব্যাটিং করছে। ওর ব্যাটিং দেখা দারুণ, আর অধিনায়ক হিসেবেও চমৎকার। ও খুব স্পষ্ট যে দলের জন্য কী করতে হবে, আমরা সবাই আত্মবিশ্বাসী।’
শেষবার এমন কীর্তি দেখা গিয়েছিল ২০১৪ সালে, যখন শ্রীলঙ্কার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ইংল্যান্ডে দুটি টেস্টে শতক করেছিলেন। আর তার আগেরবার, ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রায়েম স্মিথ করেছিলেন ২৭৭ ও ২৫৯ রানের দুটি ঐতিহাসিক ইনিংস।
ইংল্যান্ডে বিদেশি অধিনায়কদের এই কীর্তির তালিকা:
বিজ্ঞাপন
১৯৩৮: ডন ব্র্যাডম্যান (অস্ট্রেলিয়া) – ১৪৪*, ১০২*, ট্রেন্ট ব্রিজ ও লর্ডস
১৯৪৭: অ্যালান মেলভিল (দক্ষিণ আফ্রিকা) – ১৮৯, ১১৭, ট্রেন্ট ব্রিজ ও লর্ডস
১৯৫৩: লিন্ডসে হাসেট (অস্ট্রেলিয়া) – ১১৫, ১০৪, ট্রেন্ট ব্রিজ ও লর্ডস
১৯৬৬: গারফিল্ড সোবার্স (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ১৬১, ১৬৩*, ওল্ড ট্রাফোর্ড ও লর্ডস
১৯৭৩: বেভান কংডন (নিউজিল্যান্ড) – ১৭৬, ১৭৫, ট্রেন্ট ব্রিজ ও লর্ডস
১৯৯০: মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন (ভারত) – ১২১, ১৭৯, লর্ডস ও ওল্ড ট্রাফোর্ড
২০০৩: গ্রায়েম স্মিথ (দক্ষিণ আফ্রিকা) – ২৭৭, ২৫৯, এজবাস্টন ও লর্ডস
২০১৪: অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস (শ্রীলঙ্কা) – ১০২, ১৬০, লর্ডস ও হেডিংলি
২০২৫: শুবমান গিল (ভারত) – ১৪৭, ১১৪*, হেডিংলি ও এজবাস্টন