গোলের সুযোগ ছিল, বল দখলেও এগিয়ে ছিল, শটেও পিছিয়ে ছিল না- তবু জয় পেল না ম্যানচেস্টার সিটি। ক্লাব বিশ্বকাপে শেষ ষোলো থেকেই বিদায় নিতে হলো ম্যানসিটিকে। আর এই হারের পর কোচ পেপ গুয়ার্দিওলার একটাই আফসোস- প্রথমার্ধেই যদি গোলের সুযোগগুলো কাজে লাগানো যেত!
বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকালে ফ্লোরিডায় অনুষ্ঠিত ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে রোমাঞ্চকর এক ম্যাচে অতিরিক্ত সময়ে ইংলিশ ক্লাবটিকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে বড় চমক দেখিয়েছে সৌদি ক্লাব আল হিলাল। ম্যাচের শুরুটা ছিল আগের চ্যাম্পিয়ন সিটির দখলে। নবম মিনিটেই বের্নার্দো সিলভার গোলে এগিয়ে যায় তারা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ফিরেই ম্যাচের রঙ বদলে দেন আল হিলালের মার্কোস লেওনার্দো। এরপর মালকমের গোলে এগিয়ে যায় সৌদি ক্লাবটি। সেখান থেকেই আবার ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন আর্লিং হলান্ড।
বিজ্ঞাপন
৯০ মিনিট শেষে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-২। অতিরিক্ত সময়ে ফের এগিয়ে যায় আল হিলাল- ৯৪তম মিনিটে হেডে গোল করেন কালিদু কুলিবালি। ১০৪তম মিনিটে গোল করে আবারও ম্যাচে সমতা ফেরান ফিল ফোডেন। তবে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন লেওনার্দোই। ১১২তম মিনিটে তাঁর দ্বিতীয় গোলেই ৪-৩ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে আল হিলাল। গোটা ম্যাচে বলের নিয়ন্ত্রণের ৬৯ শতাংশই ছিল সিটির কাছে। গোলের জন্য নিয়েছে ৩০টি শট, যার ১৪টি লক্ষ্যে ছিল। কিন্তু তাতে গোল এসেছে মাত্র ৩টি। অন্যদিকে আল হিলাল নিয়েছে ১৭টি শট, যার ৬টি ছিল লক্ষ্যে, তাতেই ৪টি গোল তুলে নেয় তারা।
ম্যাচে সবচেয়ে বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন আল হিলালের গোলকিপার ইয়াসিন বোনু। দারুণ সব সেভে একের পর এক আক্রমণ রুখে দিয়েছেন এই মরক্কান। ম্যাচ শেষে সোজাসাপ্টা স্বীকার করে নেন পেপ গুয়ার্দিওলা, “দিন শেষে গোল করতে হয়, কার্যকর হতে হয়। ওরা প্রথমার্ধে আমাদের মতো সুযোগ পায়নি, কিন্তু আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। আমার মনে হয়েছিল আমরা পরের ধাপে যাব।”
নতুন ফরম্যাটে এবারের ক্লাব বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচে মোট ১৩ গোল করেছিল সিটি। মাত্র ২টি গোল হজম করেই তারা উঠে এসেছিল শেষ ষোলোয়। কিন্তু এখানেই থেমে যেতে হলো।
এই টুর্নামেন্টে আগের ১১ ম্যাচে কোচ হিসেবে অপরাজিত ছিলেন গুয়ার্দিওলা। বায়ার্ন মিউনিখের কোচ হিসেবে একবার এবং বার্সেলোনার হয়ে দুবার শিরোপা জেতা কোচের সেই দুরন্ত রেকর্ড এবার থামল। আগের ১১ ম্যাচে যেখানে তার দল হজম করেছিল ৪ গোল, এবার এক ম্যাচেই ১২০ মিনিটে হজম করতে হলো সমান ৪টি। এই হারের পর গুয়ার্দিওলা জানিয়ে দিয়েছেন, এখন তারা ফিরবে বিশ্রামে। “আরও এগিয়ে যেতে পারলে ভালো লাগত। প্রতি চার বছরে একবার এমন সুযোগ আসে। দলের সবাই চেষ্টা করেছে, ভালোই খেলেছে। তবে এখন আমাদের ফিরে যেতে হবে। সময় এখন বিশ্রামের, মনকে সতেজ করে নতুন মৌসুমে ঝাঁপিয়ে পড়ার।”