শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫, ঢাকা

বশের ফাইফারে ৩২৮ রানের বিশাল জয় দক্ষিণ আফ্রিকার

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১ জুলাই ২০২৫, ০৬:৫৯ পিএম

শেয়ার করুন:

বশের ফাইফারে ৩২৮ রানের বিশাল জয় দক্ষিণ আফ্রিকার

প্রথম বলেই শুরুটা বুঝিয়ে দিলেন করবিন বশ। সকালবেলায় নিক ওয়েলচকে শর্ট বলে চেপে ধরেন এই ডানহাতি পেসার, বল ঠেকাতে গিয়ে শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ব্যাটার। আগের দিন শেষ বলে তাকুদজোয়ানাশে কাইতানোর উইকেট নেওয়া বশ দাঁড়িয়ে যান হ্যাটট্রিকের সামনে। সেই হ্যাটট্রিক এড়ালেও এরপর জিম্বাবুয়ের ব্যাটিংয়ে নামে ধস। ১৮ রানের মধ্যে পড়ে যায় ৪ উইকেট। বিশাল ৫৩৭ রানের লক্ষ্য ছুঁতে যে বাকি আশা ছিল, তাও শেষ হয়ে যায় দুপুরের খানিক পরেই। দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ জেতে ৩২৮ রানের বড় ব্যবধানে।

৮২ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর লড়াইটা এগিয়ে নিতে চেষ্টা করেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেইগ এরভিন ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। সপ্তম উইকেটে দুজনে মিলে গড়েন ৮৩ রানের জুটি। কিন্তু এই লড়াইয়ের স্থায়িত্ব ছিল একটু বেশি না। শর্ট লেগে টনি ডি জর্জির দুর্দান্ত ক্যাচে আবারও থেমে যায় জিম্বাবুয়ের ইনিংসে। ৪৯ রানে থামে এরভিনের ইনিংস, সঙ্গে বশ পেয়ে যান নিজের চতুর্থ উইকেট।


বিজ্ঞাপন


চার ওভার পর নিজের পাঁচ নম্বর উইকেটও তুলে নেন বশ। এবার ফিরিয়ে দেন ভিনসেন্ট মাসেকেসাকে। প্রথম ইনিংসে ব্যাটে সেঞ্চুরির পর বল হাতে পাঁচ উইকেট, একই টেস্টে এই দুই কীর্তি গড়লেন দক্ষিণ আফ্রিকার মাত্র পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে। উইয়ান মাল্ডারের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স ও লহুয়ান-দ্রে প্রেটোরিয়াসের প্রথম ইনিংসের ১৫৩ রান- সব মিলিয়ে এই টেস্ট ছিল প্রোটিয়াদের দখলেই। আর জিম্বাবুয়ের টেস্ট ইতিহাসে এটিই হলো রানের হিসাবে তাদের সবচেয়ে বড় পরাজয়।

সিরিজের চতুর্থ দিনে কিছুটা রোমাঞ্চ এনে দেন শন উইলিয়ামস। কঠিন পরিস্থিতিতে এসেও শুরুতেই চারটি বাউন্ডারি হাঁকান প্রথম ৮ বলে। কিন্তু বশের শর্ট বলে টপ এজ হয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মাত্র ২৬ রানে। এরপর বোলিংয়ে আসেন কডি ইউসুফ, এবং শুরু হয় জিম্বাবুয়ের পরবর্তী ধস।

Screenshot_2025-07-01_185953

২৮তম ওভারে প্রিন্স মাসভাউরে, ৩০তম ওভারে ওয়েসলি মাধেভেরে ও ৩২তম ওভারে তাফাদজওয়া সিগাও আউট হন ইউসুফের বলে। তবে আবার লড়াইয়ে ফেরার চেষ্টা করেন এরভিন ও মাসাকাদজা। দুজনেই নিয়মিত বাউন্ডারি হাঁকিয়ে পাল্টা আক্রমণে যান।


বিজ্ঞাপন


এরভিন কেশব মহারাজকে সুইপ, রিভার্স সুইপ ও ফ্লিক করে বাউন্ডারি আদায় করেন, মাসাকাদজাও ছিলেন আক্রমণাত্মক। মাল্ডারের বলে ১০ রানে থাকতে ক্যাচ মিস হওয়ায় আরও বড় ইনিংস খেলেন মাসাকাদজা। ৩৩তম ওভারে এরভিনের রিভার্স সুইপে ফিফটি পার করে এই জুটি, মহারাজ তখন ছিলেন কেবল ছন্দহীনই নয়, কৌশলহীনও।

লাঞ্চের পর গালির পাশ দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে নিজের প্রথম টেস্ট ফিফটি ছুঁয়ে ফেলেন মাসাকাদজা। এর আগে তাঁর সর্বোচ্চ ছিল মাত্র ১৭। তখন মনে হচ্ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য অপেক্ষা আরও দীর্ঘ হতে যাচ্ছে। কিন্তু তখনই আবার ভাঙে জুটি- ডি জর্জির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এরভিন। এরপর কিছুক্ষণের মধ্যে মাসাকাদজা ও মাসেকেসাও ফেরেন।

জিম্বাবুয়ের ইনিংসের একমাত্র মজার মুহূর্তটা এনে দেন নাম্বার টেন ব্যাটার ব্লেসিং মুজারাবানি। ৬৪তম ওভারে ডিওয়াল্ড ব্রেভিসকে হাঁকান টানা ৪, ৪ ও ছয়। এরপর ৬৬তম ওভারে মহারাজকে মারেন আরও একটি ছয় ও চার। তবে এই আগ্রাসন বেশিক্ষণ টেকেনি। দুই ওভার পর ব্রেভিস তাঁর প্রথম টেস্ট উইকেট পান, তানাকা চিভাঙ্গা ডাউন দ্য ট্র্যাকে এসে বল মিস করলে স্টাম্পিংয়ে শেষ হয় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। এই জয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর