টেস্ট সিরিজের হতাশাজনক পরাজয়ের পর সাদা পোশাক ছেড়ে এবার রঙিন জার্সিতে নতুন স্বপ্ন দেখতে চায় বাংলাদেশ। কলম্বো টেস্ট হারার মধ্য দিয়ে টেস্ট সিরিজেও ব্যর্থ হয়েছে টাইগাররা। এবার ওয়ানডে দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে মাঠে নামছে মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ দল।
ওয়ানডে ফরম্যাটে নতুন করে পথচলা শুরু করছে বাংলাদেশ, আর সেই অভিযানের নেতৃত্বেও এসেছে পরিবর্তন। ওয়ানডে সিরিজে নেতৃত্বের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তকে। তাঁর জায়গায় একদিনের দলের অধিনায়ক করা হয়েছে অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজকে। কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ৩ জুলাই শুরু হতে যাওয়া তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ দিয়েই নেতৃত্বে অভিষেক হবে মিরাজের।
বিজ্ঞাপন
তবে সহজ নয়। কেননা মিরাজ নেতৃত্বের ভার কাঁধে তুলে নিয়েছেন এমন এক সময়ে, যখন বাংলাদেশ দলে নেই কোনো অভিজ্ঞ সিনিয়র ক্রিকেটার। এক সময় দলের শক্তির স্তম্ভ ছিলেন যে পাঁচজন- তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। তাঁরা কেউই নেই ওয়ানডে পরিকল্পনায়।
তামিম ও মাহমুদউল্লাহ অবসরে গেছেন, মাশরাফি আগে থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে, সাকিব অনিয়মিত এবং মুশফিকও একদিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। ফলে এই সিরিজ দিয়েই ১৮ বছর পর প্রথমবারের মতো সিনিয়রদের ছাড়াই ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ।
নতুন অধ্যায় মানেই নতুন চ্যালেঞ্জ। কেননা বিশ্ব ক্রিকেটে এক সময় ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল সমীহ জাগানো। র্যাঙ্কিংয়ে নিয়মিতই ছিল ছয়ে বা সাতে। তবে সময় বদলেছে। ২০২৪ সালের শেষ দিকে দলটি নেমে এসেছে দশে, যা ১৯ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বাজে অবস্থান। তাই শ্রীলঙ্কার মাটিতে এবার বড় সুযোগ নিজেদের প্রমাণ করার।
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজের ইতিহাস বলছে, মুখোমুখি ১০ সিরিজে লঙ্কানরা জিতেছে ৬টি, টাইগাররা জিতেছে ২টি, বাকি দুটি ড্র। দুই দল এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে ৫৭ বার। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কা জিতেছে ৪৩ ম্যাচে, বাংলাদেশ মাত্র ১২টিতে। ২টি ম্যাচ হয়েছে পরিত্যক্ত।
বিজ্ঞাপন
পরিসংখ্যানের দিক দিয়ে এখনও লঙ্কানরা এগিয়ে থাকলেও, মাঠের খেলায় সময় বদলেছে। দুই দলের এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য বরাবরই উপভোগ্য, ভবিষ্যতেও এই লড়াই আরও জমজমাট হবে বলেই আশা করা যায়।