ক্রিকেটের মাঠে চাপের মুখে ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য এক আলাদা পরিচিতি পেয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। সেই পরিচিতি থেকেই ভক্তদের দেওয়া জনপ্রিয় নাম ‘ক্যাপ্টেন কুল’। এবার সেই নামটিকেই আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের ট্রেডমার্ক হিসেবে নিবন্ধনের পথে এগিয়ে গেলেন এই বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ধোনি সম্প্রতি ‘ক্যাপ্টেন কুল’ নামটি ট্রেডমার্ক হিসেবে পেতে আবেদন করেছেন। মূলত খেলাধুলার অনুশীলন, কোচিং ও ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে এই আবেদন করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
২০২৫ সালের ১৬ জুন ভারতের ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রেশন পোর্টালের অফিসিয়াল জার্নালে ধোনির এই আবেদন প্রকাশ করা হয়। এর ফলে সাধারণ মানুষ বা সংশ্লিষ্ট যেকোনো পক্ষ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপত্তি জানাতে পারবেন। যদি কোনো আপত্তি না ওঠে, তাহলে ‘ক্যাপ্টেন কুল’ নামটি ধোনির নামে অফিসিয়ালি নিবন্ধিত হয়ে যাবে। তখন এই নাম ব্যবহার করে কোনো ক্রিকেট একাডেমি, স্পোর্টস ব্র্যান্ড বা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলতে আর কোনো আইনি বাধা থাকবে না।
ধোনির আইনজীবী মানসী আগরওয়াল জানিয়েছেন, ‘এই ট্রেডমার্ক আবেদন আইন অনুযায়ী একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। এটি প্রমাণ করে, একজন ব্যক্তির খ্যাতি ও পরিচিতি কিভাবে আইনি স্বীকৃতি পেতে পারে।’
তবে এই প্রক্রিয়া খুব সহজ ছিল না। প্রথমদিকে ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রি অফিস থেকে আপত্তি তোলা হয়েছিল- কারণ হিসেবে জানানো হয়, একই বা কাছাকাছি নাম আগে থেকেই রেকর্ডে আছে, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু ধোনির পক্ষ থেকে জোরালোভাবে যুক্তি দেওয়া হয় যে, ‘ক্যাপ্টেন কুল’ নামটি বহু বছর ধরে গণমাধ্যম ও ভক্তদের মধ্যে ধোনির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
সব দিক বিবেচনা করে অবশেষে ট্রেডমার্ক কর্তৃপক্ষ ধোনির আবেদন মঞ্জুর করার সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের মতে, এই নাম শুধু একটি ডাকনাম নয়, বরং ধোনির ব্যক্তিত্ব এবং পেশাগত পরিচয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক।
বিজ্ঞাপন
তবে জানা গেছে, এই নাম নিয়ে ২০২১ সালেই একটি আবেদন করেছিলেন ‘প্রভা স্কিল স্পোর্টস প্রাইভেট লিমিটেড’ নামের একটি সংস্থা, যারা অনলাইন গেমিং সার্ভিসের জন্য এই ট্রেডমার্কটি চেয়েছিল। কিন্তু সেই আবেদন এখনো আইনি জটিলতায় আটকে রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ধোনির আবেদন ও জনপ্রিয়তা সেই পুরনো আবেদনকে ছাপিয়ে যেতে পারে।