বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে চলমান প্রথম টেস্টে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে উত্তেজনা চরমে। দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া দাঁড়িয়ে ৪ উইকেট হারিয়ে ৯২ রান। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০ রানে পিছিয়ে থেকে ইনিংস শেষ করা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান লিড ৮২ রান, হাতে আছে ৬ উইকেট।
বার্বাডোজে প্রথম দিনে যেখানে পড়েছিল ১৪টি উইকেট, দ্বিতীয় দিনেও ধসে পড়ে আরও ১০টি। সঙ্গে যোগ হয় বিতর্কিত টিভি আম্পায়ারিং, যা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবির।
বিজ্ঞাপন
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ইনিংসের হাল ধরেছেন ট্রাভিস হেড ও অলরাউন্ডার বো ওয়েবস্টার। অজি টপ অর্ডার আবারও ধসে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেসারদের সামনে, দ্বিতীয় ইনিংসে ক্যারিবীয়দের ব্যবহৃত চার বোলারই শিকার করেছেন একটি করে উইকেট।

প্রথম ইনিংসে উইকেট না পাওয়া আলজারি জোসেফই শুরুতে আঘাত হানেন, এলবিডব্লিউ করেন উসমান খাজাকে। এরপর শামার জোসেফের এক ওভারে স্লিপে দুইবার জীবন পাওয়া স্যাম কনস্টাস অবশেষে তিনিই বোল্ড হন এই পেসারের বলে। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া জেডেন সিলস দ্বিতীয় ইনিংসেও ছিলেন দুরন্ত। দ্বিতীয়বারের মতো বোল্ড করে ফেরান জশ ইংলিসকে, যিনি কোনো শটই খেলেননি।
অস্ট্রেলিয়ার ৩ নম্বর ব্যাটার হিসেবে ক্যামেরন গ্রিনকে খেলানোর পরীক্ষা আবারও ব্যর্থ হয়। মাঝারি গতির পেসার জাস্টিন গ্রেভসের বলে প্রথম স্লিপে ধরা পড়েন তিনি।
বিজ্ঞাপন

এর আগে দ্বিতীয় দিনের সকালে ৭২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু রস্টন চেজ ও শাই হোপের ৬৭ রানের জুটি দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করে। চেজ খেলছিলেন তার ৫০তম টেস্ট, তবে দুই বছরের বেশি সময় পর খেলছেন লাল বলের ম্যাচ।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে লাঞ্চের ঠিক পরই তাকে এলবিডব্লিউ দেন টিভি আম্পায়ার আদ্রিয়ান হোল্ডস্টক। প্যাট কামিন্সের বলে তার ব্যাটে লেগে প্যাডে লাগলেও রিপ্লেতে দেখা গেলেও আম্পায়ার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। এরপর আবারও বিতর্ক- শাই হোপ যখন ৪৮ রানে, তখন উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স কেরির ডাইভিং ক্যাচে তাকে আউট দেন হোল্ডস্টক। কিন্তু রিপ্লেতে স্পষ্ট দেখা যায়, কেরির গ্লাভসের নিচে মাটি স্পর্শ করেছে বলটি। তবু সিদ্ধান্ত বদলায়নি।
আলজারি অপরাজিত ছিলেন ২৩ রানে, তবে এরপর দ্রুতই গুটিয়ে যায় ক্যারিবিয়ান ইনিংস। মিচেল স্টার্ক ছিলেন সফলতম বোলার- ৩ উইকেট নেন ৬৫ রানে। বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন করা হলে স্টার্ক বলেন, “আমরা কেবল প্রশ্ন তুলতে পারি। প্রযুক্তিই এসব প্রশ্নের উত্তর দেবে। খেলোয়াড়দের নয়, এসব প্রশ্ন প্রযুক্তির দিকে।”
ম্যাচের অবস্থা নিয়ে স্টার্ক মনে করেন, “এই উইকেট এখনও বোলারদের সহায়তা করছে। দুই দিনেই স্পষ্ট হয়েছে- যদি সঠিক জায়গায় বল রাখা যায়, উইকেট নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। বল পুরোনো হলেও কিছুটা সিম মুভমেন্ট আছে, যা বোলারদের খেলায় রাখছে।” এখনো পর্যন্ত দারুণ ভারসাম্যে রয়েছে ম্যাচটি- তৃতীয় দিনে কোন দল এগিয়ে যায়, সেটিই নির্ধারণ করতে পারে ফলাফলের দিক।

