হেডিংলিতে গতকাল ইতিহাস গড়েছেন রিশব পন্ত। ইংল্যান্ড সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেছিলেন ভারতীয় এই ব্যাটার। এরপর গতকাল দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন তিনি। জোড়া শতকে ইতিহাসও গড়েছেন তিনি। এর মাধ্যমে টেস্ট ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয় উইকেটকিপার-ব্যাটার হিসেবে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করলেন তিনি। ১৪৮ বছরের টেস্ট ইতিহাসে (শুরু ১৮৭৭ সালে) এমন কীর্তি আগে ছিল কেবল জিম্বাবুয়ের অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের।
এছাড়াও ইংল্যান্ডে একই টেস্টে একবার সেঞ্চুরি ও আরেক ইনিংসে ফিফটির কীর্তি পান্তের রয়েছে দু'বার। এমন কীর্তি আর কোনো উইকেটরক্ষকের নেই। ২০২২ সালে এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই করেছিলেন ১৪৬ ও ৫৭। এছাড়া ভারতের প্রথম উইকেটকিপার হিসেবে ইংল্যান্ডে একই টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করার রেকর্ড গড়েছেন পন্ত। তবে এমন ইতিহাস গড়ার পরদিনই আইসিসির তিরস্কার আর ডিমেরিট পয়েন্ট জুটেছে তার।
বিজ্ঞাপন
হেডিংলি টেস্টে আইসিসির আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে পন্তকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভর্ৎসনা করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার নামের পাশে যুক্ত হয়েছে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট। গত ২৪ মাসে এটিই তার প্রথম শাস্তিমূলক রেকর্ড।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) জানিয়েছে, ম্যাচ চলাকালীন আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে পন্ত আইসিসির আচরণবিধির ২.৮ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করেছেন। এই ধারা অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক ম্যাচে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ দেখানো যাবে না।
ঘটনাটি ঘটে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের ৬১তম ওভারে। তখন ক্রিজে ছিলেন বেন স্টোকস ও হ্যারি ব্রুক। পন্ত বলের অবস্থাসংক্রান্ত বিষয়ে আম্পায়ারদের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন। পরে আম্পায়াররা বল গজ দিয়ে পরীক্ষা করে সেটি পরিবর্তনের প্রস্তাব নাকচ করে দেন। এতে পন্ত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলটা আম্পায়ারদের সামনে মাটিতে ছুড়ে ফেলেন।
আইসিসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "উইকেটকিপার আম্পায়ারদের সামনে বলটি মাটিতে ছুড়ে দিয়ে তার অসন্তোষ প্রকাশ করেন।" ম্যাচ রেফারি রিচি রিচার্ডসনের কাছে পন্ত নিজের দোষ স্বীকার করে নেন এবং শাস্তি মেনে নেন। মাঠের দুই আম্পায়ার ক্রিস গাফানি ও পল রেইফেল অভিযোগ তুলেছিলেন।
বিজ্ঞাপন
এদিকে, সিরিজের প্রথম টেস্ট এখন রুদ্ধশ্বাস অবস্থায় পৌঁছেছে। ভারতের দেওয়া ৩৭১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামা ইংল্যান্ড চতুর্থ দিন শেষে কোনো উইকেট না হারিয়ে সংগ্রহ করেছে ২১ রান। ক্রিজে আছেন ওপেনার বেন ডাকেট ও জ্যাক ক্রলি। শেষ দিনে ম্যাচ কোন দিকে গড়ায়, সে অপেক্ষায় এখন ক্রিকেটবিশ্ব।

