রিয়াল মাদ্রিদের জার্মান ডিফেন্ডার আন্তোনিও রুডিগার অভিযোগ করেছেন, ক্লাব বিশ্বকাপে মেক্সিকোর দল পাচুকার বিপক্ষে ম্যাচ চলাকালে তিনি বর্ণবাদমূলক আচরণের শিকার হয়েছেন। রোববার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনার শার্লটে অনুষ্ঠিত ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদ ৩-১ গোলে জয় পায়।
ম্যাচের শেষ মুহূর্তে, অতিরিক্ত সময়ের পাঁচ মিনিট শুরু হওয়ার ঠিক আগে, দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে রেফারি রামন আবাত্তি রুডিগারের সঙ্গে কথা বলেন এবং পরে বুকের সামনে হাত ক্রস করে 'অ্যান্টি-রেসিজম প্রটোকল' চালুর সংকেত দেন।
বিজ্ঞাপন
রিয়াল মাদ্রিদের নতুন কোচ জাবি আলোনসো পরে সাংবাদিকদের জানান, রুডিগার নিজেই দলের সদস্যদের জানিয়েছেন যে তিনি বর্ণবাদের শিকার হয়েছেন। আলোনসো বলেন, “রুডিগার বলেছে, আমরা তাকে বিশ্বাস করি। এমন পরিস্থিতিতে কোনো সহনশীলতা থাকা উচিত নয়। ফিফা ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। এর চেয়ে বেশি আমি কিছু বলতে পারি না।”
পরে অ্যাথলেটিকের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, রুডিগারের অভিযোগ গ্যালারির কারও বিরুদ্ধে নয় বরং পাচুকার অধিনায়ক গুস্তাভো কাবরালের বিরুদ্ধে। কাবরাল বলেন, “আমাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়, সে বলে আমি হাত দিয়ে মারছি। এরপর কথাকাটাকাটি হয়, তখন রেফারি বর্ণবাদের সংকেত দেয়। আর্জেন্টিনায় আমরা সবসময় বলি ‘কাগোন দে মিয়ের্দা’ (একটা অশ্রাব্য গালি, কাউকে কাপুরুষ বলার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়)। আমি সেটাই বলেছি।”
পাচুকার কোচ জাইমে লোজানো ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে জানান, তিনি এখনও কাবরালের সঙ্গে এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি, তবে বর্ণবাদ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। “আপনার কাছ থেকেই আমি ঘটনাটা জানলাম। ড্রেসিংরুমেও কেউ কিছু বলেনি। কাবরালের সঙ্গে এখনও কথা বলিনি, তাই আমি কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারছি না,” বলেন তিনি।
“তবে আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, বর্ণবাদকে কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না। আমি আমার অধিনায়কের পক্ষে বলতে পারি, তাকে আমি অনেক দিন ধরে চিনি, এর আগে এমন কিছু তার সঙ্গে কখনও ঘটেনি, এমনকি আমাদের লিগে পাচুকার অন্য খেলোয়াড়দের সঙ্গেও না। আমি আমার অধিনায়কের জন্য আগুনেও হাত দিতে পারি।”

