ক্লাব বিশ্বকাপে ইউরোপিয়ান জায়ান্টদের একের পর এক চমক দেখাচ্ছে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবগুলো। আগের রাতে পিএসজিকে হারিয়ে চমকে দিয়েছিল বোতাফোগো। এবার সেই ধারা ধরে রেখে ফ্ল্যামেঙ্গো হারাল দুইবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী ইংলিশ ক্লাব চেলসিকে।
ফিলাডেলফিয়ায় অনুষ্ঠিত গ্রুপ ‘ডি’ ম্যাচে শুরুতে পিছিয়ে পড়েও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৩-১ ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নেয় ফ্ল্যামেঙ্গো। এই জয়ে তারা ২৫ বছর পর ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটায়। ১৯৯৯ সালের পর এবারই প্রথম কোনো ইউরোপিয়ান ক্লাবকে দুই বা তার বেশি গোলের ব্যবধানে হারাল কোনো নন-ইউরোপিয়ান ক্লাব। সর্বশেষ ২০০০ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৩–১ গোলে হারিয়েছিল ব্রাজিলেরই আরেক ক্লাব ভাস্কো দা গামা।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া ৩৩ বছর পর ইউরোপিয়ান প্রতিপক্ষের বিপক্ষে পিছিয়ে থেকেও জয় পেল দক্ষিণ আমেরিকার কোনো ক্লাব। ১৯৯২ সালে ইন্টার কন্টিনেন্টাল কাপে বার্সেলোনাকে ২–১ গোলে হারিয়েছিল সাও পাওলো।
চেলসি ম্যাচের খেলা শুরু হয় চেলসির আক্রমণাত্মক ফুটবলে। ১৩তম মিনিটে পেদ্রো নেতোর গোলে এগিয়ে যায় ইংলিশ ক্লাবটি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে বদলে যায় ম্যাচের দৃশ্যপট। ৬২ মিনিটে ব্রুনো হেনরিকের গোলে সমতা ফেরায় ফ্ল্যামেঙ্গো। তিন মিনিট পর দানিলো করেন দলের দ্বিতীয় গোল।
৬৮ মিনিটে চেলসির নিকোলাস জ্যাকসন লাল কার্ড দেখলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় তারা। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ৮৩ মিনিটে ওয়ালেস ইয়ান করেন তৃতীয় গোল, নিশ্চিত করেন ফ্ল্যামেঙ্গোর দুর্দান্ত জয়।
অপর ম্যাচে শক্তিশালী বেনফিকা ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করে অকল্যান্ড সিটিকে। আর্জেন্টাইন তারকা আনহেল দি মারিয়া করেন জোড়া গোল, দুটিই পেনাল্টি থেকে। এই অকল্যান্ড সিটিই প্রথম ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরেছিল ১০-০ গোলে।
বিজ্ঞাপন
বায়ার্ন তাদের দ্বিতীয় ম্যাচে ২-১ গোলে হারায় আর্জেন্টিনার বোকা জুনিয়র্সকে। বায়ার্নের হয়ে একটি করে গোল করেন হ্যারি কেইন ও মিচেল ওলিসে। দুই ম্যাচে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করে জার্মান জায়ান্টরা।
এদিকে বেনফিকা ৬ গোলের বড় জয় পেলেও ৪ পয়েন্ট নিয়ে এখনও নকআউটে নিশ্চিত নয়। কারণ শেষ ম্যাচে তাদের মুখোমুখি হতে হবে বায়ার্ন মিউনিখের। অন্যদিকে বোকা জুনিয়র্সের শেষ ম্যাচ অকল্যান্ড সিটির বিপক্ষে। বেনফিকা যদি হেরে যায়, তবে বড় ব্যবধানে জিতে নকআউটে উঠতে পারে বোকা জুনিয়র্স।

