সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ফাইনালে হারায় অস্ট্রেলিয়া দলকে ধুয়ে দিলেন সাবেক তারকা পেসার

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫ জুন ২০২৫, ০৮:০৫ পিএম

শেয়ার করুন:

ফাইনালে হারায় অস্ট্রেলিয়া দলকে ধুয়ে দিলেন সাবেক তারকা পেসার

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (ডব্লিউটিসি) ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারের পর অস্ট্রেলিয়া দলের পারফরম্যান্স নিয়ে মুখ খুলেছেন সাবেক পেসার মিচেল জনসন। প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বাধীন দলকে সমালোচনার মুখে ফেলেছেন তিনি। বিশেষ করে জস হ্যাজলউডের আইপিএলকে গুরুত্ব দেওয়া ও চার বোলারের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জনসন।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাঁচ উইকেটে হারের ম্যাচে হ্যাজলউড নিয়েছিলেন মাত্র দুটি উইকেট। চোট থেকে সেরে উঠেই জাতীয় দলের প্রস্তুতির বদলে তিনি ফিরে যান আইপিএলে। আর সেই আইপিএলেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে প্রথমবারের মতো শিরোপা এনে দিতে বড় ভূমিকা রাখেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


জনসনের চোখে, মিচেল স্টার্ক, হ্যাজলউড, প্যাট কামিন্স এবং নাথান লায়ন- এই ‘বোলিং বিগ ফোর’ এখন আর অটোমেটিক পছন্দের তালিকায় থাকার মতো নন।

দ্য ওয়েস্ট অস্ট্রেলিয়ান পত্রিকায় জনসন লিখেছেন, “মাঠে নামলেই জেতাবে- এমন ভেবে এই চার বোলারের ওপর ভরসা করা এখন আর নিরাপদ নয়”। তিনি আরও যোগ করেন, “গত কয়েক বছর ধরেই হ্যাজলউডের ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তার চোট কাটিয়ে আইপিএলে ফেরার সিদ্ধান্ত জাতীয় দলের প্রতি তার অগ্রাধিকার নিয়েই সন্দেহ তৈরি করেছে। আর লায়নের পারফরম্যান্স তো তিন নম্বর দিনে একদমই ভালো ছিল না।”

Screenshot_2025-06-15_200629

প্রথমে ২২ মার্চ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল আইপিএল ২০২৫। কিন্তু এক সপ্তাহের বিরতির কারণে টুর্নামেন্ট গড়ায় ৩ জুন পর্যন্ত। আর এই পুনঃনির্ধারিত সূচির ধাক্কা লাগে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়দের প্রস্তুতিতে, কারণ ডব্লিউটিসি ফাইনাল নির্ধারিত ছিল ১১ জুন।


বিজ্ঞাপন


যেখানে অনেকেই লিগ পর্বের পর আইপিএল ছেড়ে জাতীয় দলে যোগ দেন, স্টার্ক তা করেননি। হ্যাজলউড ৩ জুন আইপিএলের ফাইনালে খেলেন বেঙ্গালুরুর হয়ে, এরপর সরাসরি লন্ডনে উড়ে যান। ফলে ফাইনালের আগে তার প্রস্তুতির সুযোগ ছিল একেবারেই সীমিত। এখানেই থামেননি জনসন। অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান স্কোয়াডের বয়স নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। দলে অনেকেই ৩০ পেরিয়ে গেছেন, যা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় বাধা হতে পারে বলে মনে করেন সাবেক এই পেসার। তার মতে, এখনই নজর দিতে হবে ভবিষ্যতের দিকে।

তিনি বলেন, “আমাদের পরবর্তী টেস্ট স্কোয়াড গড়ার এখনই সময়। স্যাম কনস্টাস, জশ ইংলিস, স্কট বোল্যান্ডের মতো ফ্রিঞ্জ খেলোয়াড়দের নিয়ে কাজ করা জরুরি। এমনকি বোল্যান্ডের বয়স ৩৬ হলেও তার মনোভাবই আলাদা, তিনি এখনো নিজেকে প্রমাণ করতে চান প্রতিটি সুযোগে।”

প্যাট কামিন্সদের পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনার পাশাপাশি ব্যাটিং অর্ডার নিয়েও প্রশ্ন তোলেন জনসন। ক্যামেরন গ্রিনকে তিনে ও মার্নাস লাবুশেনকে ওপেনার হিসেবে খেলানোকে তিনি টিকসই পরিকল্পনা মনে করছেন না। “গ্রিন ম্যাচে পাঁচ বল খেলে এক ইনিংসে ৪ আর অন্যটিতে শূন্য- দুটি ইনিংসেই রাবাদার বলেই আউট। এটা পরিষ্কার, তিন নম্বর পজিশনের জন্য সে উপযুক্ত নয়। কিন্তু আসল সমস্যা হচ্ছে লাবুশেনের বাজে ফর্ম। এটা অনেকটা সেই পরিস্থিতির মতো, যখন স্টিভ স্মিথ নিজে খারাপ ফর্মে থাকায় ওপেন করতে উঠে এসেছিলেন।”

সব মিলিয়ে, মিচেল জনসনের বক্তব্যে স্পষ্ট- জাতীয় দলের জন্য প্রতিশ্রুতিশীল ও সদা প্রস্তুত খেলোয়াড় দরকার, খ্যাতি নয়।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর