২০২৭ এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ঘরের মাঠে জয়ের প্রত্যাশা নিয়ে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। তবে বাস্তবতা হলো ঠিক উল্টো। ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে ১৮ হাজারের বেশি দর্শকের সামনে সিঙ্গাপুরের কাছে ২-১ গোলে হেরে যায় জামাল ভূঁইয়া ও হামজা চৌধুরীদের বাংলাদেশ।
এই হারের ফলে মূলপর্বে জায়গা করে নেওয়ার লড়াইটা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে লাল-সবুজদের জন্য। যদিও এখনই সব আশা শেষ হয়ে যায়নি। বাছাইপর্বের ‘সি’ গ্রুপে প্রতিটি দলই এখনও চারটি করে ম্যাচ বাকি আছে। সেক্ষেত্রে নিজেদের সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে পরবর্তী প্রতিটি ম্যাচেই জয় প্রয়োজন বাংলাদেশের।
বিজ্ঞাপন
এই পরাজয়ের পরও পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে আছে বাংলাদেশ। হংকংয়ের কাছে ১-০ গোলে হেরে ভারত আছে সবার নিচে। দুই দলই সমান পয়েন্টে থাকলেও একটি গোল করার সুবাদে গোল ব্যবধানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। গ্রুপে আপাতত শীর্ষে আছে সিঙ্গাপুর। তারা এখন পর্যন্ত নিজেদের সব ম্যাচ জিতলে সর্বোচ্চ ১৬ পয়েন্ট অর্জন করতে পারবে। বাংলাদেশ ও ভারতের সর্বোচ্চ সম্ভাব্য অর্জন ১৩ পয়েন্ট। হংকংয়ের ক্ষেত্রেও একই চিত্র।
বাংলাদেশ যদি পরবর্তী চার ম্যাচের সবগুলোতে জয় পায়, তাহলে তাদের পয়েন্ট দাঁড়াবে ১৩। সেক্ষেত্রে সিঙ্গাপুরকে হারাতে হবে তাদের নিজেদের মাঠে, যাতে তারা পয়েন্ট হারিয়ে ১৩-তেই আটকে যায়। তখন উভয় দলই ১৩ পয়েন্ট নিয়ে টাইব্রেকারে যাবে। টাইব্রেকারে প্রথম বিবেচনায় আসে হেড-টু-হেড পয়েন্ট।
সেখানে যদি উভয় দল একে অপরের বিপক্ষে একটি করে ম্যাচ জিতে, তাহলে পরবর্তী ধাপে দেখা হবে গোল ব্যবধান। তাতেও সমতা হলে, যে দল বেশি গোল করেছে, তারা এগিয়ে থাকবে। অক্টোবরে আন্তর্জাতিক ফুটবল উইন্ডোতে বাংলাদেশ হংকংয়ের বিপক্ষে মুখোমুখি হবে দুইবার, একবার ঘরের মাঠে, অন্যবার হংকংয়ে। এই দুই ম্যাচেই জয় পাওয়া বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানেই পরিষ্কার হয়ে যাবে বাংলাদেশের বাস্তব সম্ভাবনা।
বাকি চার ম্যাচের জন্য এখন থেকেই কর্মপরিকল্পনা সাজাচ্ছেন প্রধান কোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরা। দলের প্রতিটি খেলোয়াড়কে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামতে হবে, কারণ পরবর্তী প্রতিটি ম্যাচই বাংলাদেশের জন্য ‘ফাইনাল’।