সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বহুল প্রতীক্ষিত ম্যাচে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি বাংলাদেশের জন্য। মাত্র ৫৮ মিনিটের মধ্যে দুই গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে লাল-সবুজের দল। তবে হাল ছাড়েনি বাংলাদেশ। হামজা চৌধুরী ও রাকিব হোসেনের নেতৃত্বে দৃঢ় প্রত্যাবর্তনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দল। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার ২৩ মিনিট আগে রাকিব হোসেনের দুর্দান্ত এক গোলে ব্যবধান কমিয়েছে বাংলাদেশ।
ম্যাচের এক ক্রুশিয়াল মুহূর্তে মাঝমাঠের সামান্য সামনে থেকে হামজার নিখুঁত পাস পান রাকিব হোসেন। দ্রুত গতিতে বল নিয়ে এগিয়ে যান তিনি। সিঙ্গাপুরের গোলরক্ষক সামনে এগিয়ে আসায় সুযোগ বুঝে রাকিব চতুরতার সঙ্গে বল জালে জড়ান। বলের গতি খুব বেশি না হলেও গোলকিপারের অবস্থানের ভুলের সুযোগ কাজে লাগান রাকিব। সিঙ্গাপুরের ডিফেন্ডাররা ততক্ষণে বল ঠেকানোর কোনো সুযোগই পাননি। এই গোল বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরার দৃঢ় আত্মবিশ্বাস জোগায়।
বিজ্ঞাপন
ম্যাচের প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে, ৪৪তম মিনিটে প্রথম গোল হজম করে বাংলাদেশ। সিঙ্গাপুরের ফরোয়ার্ডরা বাংলাদেশের রক্ষণ ভেদ করে বক্সে ঢুকে পড়ে। গোলরক্ষক মিতুল মারুফ বল ফিস্ট করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এরপর বক্সের মধ্যে হেডের মাধ্যমে বল ডান দিকে চলে যায়। সেখান থেকে সিঙ্গাপুরের একজন ফুটবলার বল বাঁ দিকে পাঠান, যেখানে সং উই ইয়াং দুর্দান্ত শটে গোল করেন। হামজা চৌধুরী অনেক দূর থেকে দৌড়ে এসে গোল বাঁচানোর চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি।
৫৮তম মিনিটে আরেকটি গোল হজম করে বাংলাদেশ। সিঙ্গাপুরের আক্রমণাত্মক খেলার সামনে বাংলাদেশের রক্ষণভাগ কিছুটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এই গোল দলের মনোবলের ওপর চাপ সৃষ্টি করলেও হামজা-রাকিবদের নেতৃত্বে দল ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে।
রাকিবের গোলের পর বাংলাদেশ দল নতুন উদ্যমে মাঠে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। হামজার মাঝমাঠ নিয়ন্ত্রণ, রাকিবের আক্রমণাত্মক রান এবং দলের সামগ্রিক সমন্বয় ম্যাচের শেষ মুহূর্তগুলোতে সমর্থকদের আশা জাগাচ্ছে। বাকি সময়ে বাংলাদেশ কীভাবে এই ম্যাচে ফিরে আসে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।