সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

আমার পাশে বসলেই সব টের পাবে- প্রীতিকে বললেন পন্টিং

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ জুন ২০২৫, ০৫:১৭ পিএম

শেয়ার করুন:

আমার পাশে বসলেই সব টের পাবে- প্রীতিকে বললেন পন্টিং

ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সফল অধিনায়ক রিকি পন্টিং। এখন তিনি কোচ ও মেন্টর হিসেবে ব্যস্ত। ২০২৫ আইপিএলে পাঞ্জাব কিংসকে ফাইনালে তুলতে বড় ভূমিকা রাখেন এই অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি। যদিও ফাইনালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) কাছে হার মানতে হয়, পন্টিংয়ের কোচিং প্রশংসিত হয়েছে ক্রিকেট দুনিয়াজুড়ে। তবে এতকিছুর পরও পন্টিংয়ের কিছু বৈশিষ্ট্য এখনও পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারেননি পাঞ্জাব কিংসের সহ-মালিক ও বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা।

সম্প্রতি এক খোলামেলা আড্ডায় প্রীতি সরাসরি কোচ পন্টিংকে জিজ্ঞেস করলেন, এতটা আগ্রাসী স্বভাবের একজন মানুষ, যিনি খেলোয়াড় হিসেবে ছিলেন ভয়ংকর রকমের লড়াকু, তিনি কোচ হিসেবে ডাগআউটে এতটা শান্ত ও ঠাণ্ডা থাকেন কীভাবে?


বিজ্ঞাপন


প্রীতির প্রশ্ন ছিল, “একজন মানুষ মাঠে এতটা আগ্রাসী, আবার ডাগআউটে এত শান্ত, এটা সম্ভব কীভাবে?” পন্টিং হেসে উত্তর দিলেন, আসলে প্রীতি যেটা ভাবছেন, বাস্তবে ব্যাপারটা সবসময় তেমন নয়। বরং সত্যিকারের চিত্র দেখতে হলে প্রীতিকে ডাগআউটে তার পাশে বসে থাকতে হবে!

পন্টিং বলেন, “তোমার একদিন আমার পাশে ডাগআউটে বসা উচিত। তাহলে বুঝতে পারবে, আমি সবসময় এতটা ঠাণ্ডা থাকি না। আমি জন্মগতভাবেই একটু আগ্রাসী, বিশেষ করে যখন ক্রিকেটের সময় হয়।” পন্টিং এরপর ব্যাখ্যা করেন, একজন কোচ হিসেবে তার লক্ষ্য শুধু নিজেকে সেরা করে তোলাই নয়, বরং তার অধীনে খেলা প্রতিটি ক্রিকেটারের মধ্য থেকেও সেরাটা বের করে আনা।

তার ভাষায়, “ক্রিকেটের বাইরের সময় আমি যে কারও সঙ্গে আড্ডা দিতে পারি, মজা করতে পারি, এক কাপ কফি খেতে খেতে যে কোনো বিষয়েই কথা বলতে পারি। কিন্তু যখন ক্রিকেটের সময় আসে, তখন আমার দায়িত্ব হলো দলকে সেরা পারফরম্যান্সের পথে চালিত করা। আমি একটাও মিনিট, একটাও দিন, একটাও প্র্যাকটিস সেশন নষ্ট করব না। আমি চাই, আমি যেন সেরা কোচ হতে পারি, আর আমার সঙ্গে থাকা প্রত্যেক ক্রিকেটার যেন নিজের সেরাটা দিতে পারে।”

পন্টিংয়ের এই মনোভাবই হয়তো তাকে এক সময়ের দাপুটে অধিনায়ক থেকে এখনকার অন্যতম শ্রদ্ধেয় কোচে পরিণত করেছে।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর