যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদের পদত্যাগ নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে ক্রিকেট অঙ্গনে। বৈঠকের পর থেকেই শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা। দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সূত্রের বরাত দিয়ে জানায়, ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বিসিবির বর্তমান সভাপতির ওপর অনাস্থা প্রকাশ করেছে।
তবে এ বিষয়ে সরাসরি প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, তিনি পদত্যাগ করবেন না। তার ভাষায়, 'আমি দায়িত্ব নিয়েছি দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্য। কিছু মতভেদ থাকলেও, দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর প্রশ্নই আসে না।'
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন- কারণ ছাড়া আমি পদত্যাগ করব না: ফারুক
ঘটনার ধারাবাহিকতায় বিসিবির ৮ জন পরিচালক একযোগে সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা পত্রে স্বাক্ষর করে, ফারুকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর চিঠি লিখেছিলেন বোর্ড পরিচালকরা। তবে ওই চিঠিতে একমাত্র স্বাক্ষর করেননি সাবেক ক্রিকেটার ও বোর্ড পরিচালক আকরাম খান।
আরও পড়ুন- পরিস্থিতি ঘোলাটে, পদত্যাগ করতে পারেন ফারুক
বোর্ডের অভ্যন্তরে এ ধরনের অনাস্থা প্রকাশ বিরল ঘটনা নয়, তবে এবার পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে বেশ উত্তেজনাপূর্ণ। বোর্ডের নীতিনির্ধারণী মহলে গুঞ্জন চলছে, এই অনাস্থার ফলে বিসিবিতে বড় ধরনের রদবদল আসতে পারে।
বিজ্ঞাপন
ক্রিকেট বোর্ডের নেতৃত্বে এমন দ্বন্দ্ব দেশের ক্রিকেট ব্যবস্থাপনায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সামনে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ আসর থাকায়, নেতৃত্বে স্থিতিশীলতা এখন সময়ের দাবি।
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টাকে পাঠানো চিঠি নিচে দেয়া হলো-




