ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়েছেন ব্যাটার সরফরাজ খান। দলে জায়গা পেয়েছেন করুণ নাইর ও শাই সুদর্শনের মতো নতুন ও পুরোনো মুখ।
দলের নেতৃত্বেও এসেছে বড় পরিবর্তন, রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির অবসরের পর অধিনায়ক করা হয়েছে শুভমান গিলকে, সহ-অধিনায়ক ঋষভ পান্থকে।
বিজ্ঞাপন
সরাসরি বাদ দেওয়ার বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা না মিললেও অনেকেই মনে করছেন, এটি সরফরাজের প্রতি অন্যায়। কারণ তিনি জাতীয় দলে ফেরার জন্য ফিটনেসে কাজ করে প্রায় ১০ কেজি ওজন কমান।
সাবেক অধিনায়ক সুনিল গাভাস্কার এই সিদ্ধান্তকে ‘কঠিন’ বলে মন্তব্য করেছেন। তার মতে, সুযোগ পেলে সেটিকে কাজে লাগিয়ে নিজেকে অপরিহার্য করে তুলতে হয়।
গাভাস্কার ইন্ডিয়া টুডে-কে বলেন, ‘এটাই ক্রিকেটের কঠিন দিক। যখন সুযোগ আসে, আপনাকে নিজের জায়গা নিশ্চিত করতে হবে। যদি সেঞ্চুরিও করেন, এরপরের ইনিংসে নামার সময় মাথায় রাখা চলবে না যে আগের ম্যাচে শতরান করেছেন। আবার চোখে চোখে রান তুলতে হবে। আপনাকে দল থেকে সরিয়ে দেওয়ার সুযোগ কাউকে দেওয়া যাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করে যে, আপনি নিজেকে কীভাবে অপরিহার্য করে তুলবেন। আপনাকে বারবার দরজায় কড়া নাড়তে হবে, দরজা ভেঙে ঢুকতে হবে।’
বিজ্ঞাপন
গাভাস্কার বলেন, ‘চোটের কারণে সরফরাজ ঘরোয়া লাল বলের ক্রিকেটে খেলতে পারেনি। তাই নিজেকে প্রমাণের সুযোগও মেলেনি। এটা কঠিন পরিস্থিতি’
ভারতীয় প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকার জানান, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরির পর ধারাবাহিকভাবে রান না করাই সরফরাজকে বাদ দেওয়ার অন্যতম কারণ।
আগারকার বলেন, ‘মাঝেমধ্যে আপনাকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সরফরাজ প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিল, তারপর রান পায়নি। অনেক সময় টিম ম্যানেজমেন্ট সিদ্ধান্ত নেয় দলের সেরা স্বার্থে। কারও জন্য সেটা অন্যায় হতেই পারে, আবার কারও জন্য সঠিক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলটাই মুখ্য।’

