চলতি মৌসুমটা ম্যানচেস্টার সিটির জন্য যেন দুঃস্বপ্নের মত। লিগ শিরোপার দৌড় থেকে দলটি ছিটকে গিয়েছিল অনেক আগেই। এরপর চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও বেশি দূর এগোতে পারেনি সিটিজেনরা। ঘরোয়া প্রতিযোগীতায় কেবল এফএ কাপেই শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা ছিল পেপ গার্দিওলার ষিষ্যদের। তবে ফাইনালে গতকাল ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে ম্যাচে এ সুযোগটিও হারিয়েছে প্রিমিয়ার লিগের সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। আর সিটির খালি হাতে ফেরার দিনে ক্লাব ইতিহাসের প্রথম বড় কোনো শিরোপা জয়ের আনন্দে মাতোয়ারা হয়েছে প্যালেস।
ওয়েম্বলিতে ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে ক্লাব ইতিহাসে প্রথম বড় ট্রফি জিতেছে ক্রিস্টাল প্যালেস। এফএ কাপ ফাইনালে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে অলিভার গ্লাসনারের দল গড়েছে নতুন ইতিহাস।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন- কেন মুখ ঢেকে কথা বলেন ফুটবলাররা?
আরও পড়ুন- ফের বিশ্বের সর্বোচ্চ আয় করা ক্রীড়াবিদ রোনালদো, সেরা দশে আরও যারা
খেলার ১৬ মিনিটে দলের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন এবেরেচি এজে। দ্রুত কাউন্টার অ্যাটাকে ডানিয়েল মুনিওজের বাড়ানো বল নিখুঁতভাবে জালে পাঠান তিনি। সেই গোলেই শেষ পর্যন্ত শিরোপা ছিনিয়ে নেয় প্যালেস।

বিজ্ঞাপন
পেপ গার্দিওলার দল এদিন একেবারেই ছন্দে ছিল না। ২০১৬-১৭ মৌসুমে গার্দিওলা দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম কোনো ট্রফি ছাড়াই শেষ করতে হলো একটি মৌসুম।
প্রথমার্ধে একটি ঘটনায় ক্ষোভ ঝাড়ে ম্যানসিটি। তাদের দাবি, সিটির স্ট্রাইকার আর্লিং হালান্ডের চাপে পড়ে বক্সের বাইরে এসে হাত দিয়ে বল ঠেকিয়েছিলেন প্যালেস গোলরক্ষক ডিন হেন্ডারসন। তবে ভিএআরের সিদ্ধান্তে তাকে লাল কার্ড দেখানো হয়নি। কারণ হিসেবে জানানো হয়, হালান্ড গোলের দিকে এগোচ্ছিলেন না, তাই পরিষ্কার স্কোরিং চ্যান্স বাধাগ্রস্ত হয়নি।

এরপর ৩৬ মিনিটে বার্নার্ডো সিলভাকে ফাউল করেন টাইরিক মিচেল। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দিলে বল হাতে নেন ওমার মারমুশ। তবে তার শট রুখে দিয়ে দলকে বাঁচিয়ে দেন হেন্ডারসন। হালান্ড যদিও স্পটকিকে এগিয়ে আসেননি, কারণ আগের সাত পেনাল্টির তিনটিতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।
পুরো ম্যাচজুড়ে বল দখলে এগিয়ে ছিল ম্যানসিটি, কিন্তু গোলের মুখে ব্যর্থ তারা। হেন্ডারসনের অসাধারণ সেভগুলোই ম্যাচের চেহারা বদলে দেয়। হালান্ড, গার্দিওল ও জেরেমি ডোকুর শট ঠেকান তিনি প্রথমার্ধে। দ্বিতীয়ার্ধে আরও একটি সেভ করেন ক্লডিও একেভেরির শট থেকে।
শেষ বাঁশি বাজতেই ওয়েম্বলিতে উল্লাসে ফেটে পড়ে প্যালেস সমর্থকরা। দীর্ঘদিনের শিরোপা খরা ঘোচানোর আনন্দে ভাসে পুরো দল। ‘দ্য ঈগলস’ এখন আর শুধু চমক নয়, তারা এখন এফএ কাপ জয়ী।

