আট দিন বিরতির পর ফের শুরু হচ্ছে আইপিএল। ভারত-পাকিস্তান রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে সাময়িক বন্ধ থাকা এই টুর্নামেন্ট আবার শুরু হবে শনিবার থেকে। প্লে-অফে ওঠার দৌড়ে এখনও রয়েছে ৭টি দল। ইতিমধ্যেই ছিটকে গেছে হায়দরাবাদ, রাজস্থান ও চেন্নাই।
তবে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে এবার প্লে-অফে ওঠার লড়াই আরও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে দলগুলোর। কেননা সব দলে বিদেশি ক্রিকেটারদের অনুপস্থিতি। জুনের শুরুতে রয়েছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল (অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা) এবং ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ। ফলে অনেক বিদেশি ক্রিকেটার আইপিএল খেলতে পারছেন না, একই সঙ্গে রয়েছে ভারত-পাকিস্তানের সংঘাত।
বিজ্ঞাপন
এখনও ৭টি দল টিকে আছে প্লে-অফ দৌড়ে। বেশ কিছু বিদেশি ক্রিকেটার না থাকায় দলগুলোর ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। ফলে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত জমে থাকবে এই উত্তেজনার লড়াই।
এক নজরে যেসব দল এখনও প্লে-অফে টিকে রয়েছে:
গুজরাট– (১৮ পয়েন্টে পৌঁছতে আর ১ জয় দরকার)। তবে শেষ তিন ম্যাচ হারলে প্লে-অফ থেকে ছিটকে যেতেও পারে। বিদেশিদের অনুপস্থিতি সমস্যার হতে পারে (বাটলার, রাবাদা, কোয়েৎজি)। তবে ঘরের মাঠে সুবিধার অপেক্ষায় গুজরাট।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (১৬ পয়েন্ট, ১১ ম্যাচ)– একটি ম্যাচ জিতলেই প্লে-অফে। তবে বিদেশি পেসারদের (হেজলউড, এনগিডি, শেফার্ড) না পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
বিজ্ঞাপন
পাঞ্জাব কিংস (১৫ পয়েন্ট, ১১ ম্যাচ)– ২টি ম্যাচ জিতলেই প্লে-অফ নিশ্চিত। তবে কিছু জটিল সমীকরণেও যেতে পারে। স্টোইনিস, ইংলিস, জানসেন না ও খেলতে পারেন।
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স (১৪ পয়েন্ট, ১২ ম্যাচ)– শেষ দুই ম্যাচ জিতলেই প্লে-অফে। রিকেলটন ও করবিন বশ অনুপস্থিত থাকলে সমস্যা হতে পারে।
দিল্লি ক্যাপিটালস (১৩ পয়েন্ট, ১১ ম্যাচ)– সব ম্যাচ জিতলে প্লে-অফ নিশ্চিত। তবে স্টার্ক ও ম্যাকগার্ক না আসায় বোলিং দুর্বল হতে পারে।
কলকাতা (১১ পয়েন্ট, ১২ ম্যাচ)– সুযোগ খুবই ক্ষীণ। অন্য দলের ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে। তবে বিদেশিদের নিয়ে সমস্যা কম।
লখনউ (১০ পয়েন্ট, ১১ ম্যাচ) – পরের তিনটি ম্যাচে জয় পেতেই হবে। একটি হারলেই ছিটকে যাবে।

