স্প্যানিশ ফুটবল ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্ডার রাউল আসেনসিও এবং আরও তিন সাবেক ফুটবলারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ তারা এক অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীর যৌন সম্পর্কের ভিডিও রেকর্ড করে তা ছড়িয়ে দেন। স্পেনের গ্রান ক্যানারিয়ার সান বার্তোলোমে দে তিরাখানা আদালত জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শেষ হয়েছে এবং এখন পাবলিক প্রসিকিউটরের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা মামলাটি আদালতে পাঠানো হবে কি না।
অভিযুক্ত বাকি তিনজন হলেন, ফেরান রুইজ, হুয়ান রদ্রিগেজ ও আন্দ্রেস গার্সিয়া। ঘটনার সময় তারা সবাই রিয়াল মাদ্রিদের বিভিন্ন পর্যায়ের (কাস্তিয়া ও সি দল) খেলোয়াড় ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
ঘটনাটি ঘটে ২০২৩ সালে স্পেনের এক সৈকত ক্লাবে। তদন্তের অংশ হিসেবে গত বছরের সেপ্টেম্বরে তিনজন খেলোয়াড়কে গ্রেপ্তার করা হয়। রাউল আসেনসিও শুরুতে সাক্ষী হিসেবে ডাকা হলেও পরে তার বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠে এবং পুলিশ তদন্তে তাকে অন্তর্ভুক্ত করে।
রিয়াল মাদ্রিদ ক্লাব এ বিষয়ে জানিয়েছিল, 'একজন কাস্তিয়া খেলোয়াড় ও তিনজন সি দলের খেলোয়াড় ব্যক্তিগত ভিডিও হোয়াটসঅ্যাপে ছড়ানোর বিষয়ে গার্দিয়া সিভিলের সামনে সাক্ষ্য দিয়েছেন। ক্লাব পুরো তথ্য জানার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।'
আসেনসিওর আইনজীবীরা মামলাটি বাতিলের আবেদন করলেও ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। মামলার নথি অনুসারে, ঘটনার সময় ভুক্তভোগী মেয়েটির বয়স ছিল ১৬ বছরের কম। আদালত বলেছে, অভিযুক্তদের কাজ স্পষ্টভাবে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের আওতায় পড়ে এবং তাদের বিরুদ্ধে অপ্রাপ্তবয়স্কদের পর্নোগ্রাফিতে ব্যবহারের অভিযোগও আনা হয়েছে।
বর্তমানে রাউল আসেনসিও রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চলতি লা লিগা মৌসুমে ২১টি ম্যাচ খেলেছেন। অন্যদিকে, বাকি তিন খেলোয়াড় ইতিমধ্যে ক্লাব ছেড়ে গেছেন। ফেরান রুইজ বর্তমানে জিরোনায় খেলছেন। ক্লাবের স্পোর্টিং ডিরেক্টর কিকে কার্সেল এ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, 'আমি কাউকে দোষী বলি না, যতক্ষণ না আদালতে প্রমাণ হয়।' রদ্রিগেজ এখন তারাগোনা ক্লাবে খেলছেন এবং গার্সিয়া খেলছেন আলকোরকনের হয়ে।
বিজ্ঞাপন
মামলার পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ভর করছে পাবলিক প্রসিকিউটরের সিদ্ধান্তের উপর। তারা চাইলে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ এনে বিচার শুরুর অনুমতি চাইতে পারেন, আবার চাইলে মামলাটি বন্ধ করার আবেদনও করতে পারেন। তবে যে কোনো সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই পরবর্তীতে আপিলের সুযোগ থাকবে

