পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) খেলতে গিয়ে শুরুতে পারফরম্যান্সে আলোচনায় উঠে এসেছিলেন বাংলাদেশের লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। তবে শেষ দিকে মাঠের ক্রিকেট ছাপিয়ে সামনে চলে আসে যুদ্ধ-আতঙ্ক। ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের জেরে পিএসএল স্থগিত হয়ে যায়। এই অস্থির পরিস্থিতির মধ্যেই দেশে ফিরে এসেছেন রিশাদ ও পেসার নাহিদ রানা।
শনিবার বিকেলে ইসলামাবাদ থেকে বিশেষ বিমানে দুবাই হয়ে ঢাকায় পৌঁছান তারা। দেশে ফিরে গণমাধ্যমের সামনে নিজের অভিজ্ঞতা ও স্বস্তির কথা জানান রিশাদ। ‘ভালোয় ভালোয় ফিরে আসছি, ভালো লাগছে আলহামদুলিল্লাহ’, বলেন রিশাদ।
বিজ্ঞাপন
ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে রিশাদ জানান, তাদের ফ্লাইট উড্ডয়নের মাত্র ২০ মিনিট পর ইসলামাবাদের বিমানবন্দরে একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। ‘আমরা তখন মাঝ আকাশে। পরে শুনি আমাদের ওঠার ২০ মিনিট পরেই মিসাইল হামলা হয়েছে। শকড হয়ে গিয়েছিলাম। মনে হয়েছিল, আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা বেঁচে ফিরেছি।’
নাহিদের অভিষেক হওয়ার আগেই যুদ্ধ-আতঙ্কে পিএসএল বন্ধ হয়ে যায়। রাওয়ালপিন্ডিতে তাদের খেলা হওয়ার কথা ছিল যেদিন, তার আগের দিন একই মাঠে ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। এ প্রসঙ্গে রিশাদ বলেন, ‘আসলে শুরুতে যেটা শুনলাম, দেখলাম, তাতে ভয় কাজ করছিল। তবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল সবাই- বিসিবি, পিসিবি, আমাদের ফ্র্যাঞ্চাইজি।’
তিনি আরও জানান, পরিবারের চিন্তাও ছিল তুঙ্গে। তবে তারা চেষ্টা করেছেন পরিবারের টেনশন কমানোর জন্য ইতিবাচকভাবে কথা বলার। নাহিদের সম্পর্কে বলতে গিয়ে রিশাদ বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবেই নাহিদ একটু ঘাবড়ে গিয়েছিল। আমি চেষ্টা করেছি তাকে সাহস দেওয়ার। বলেছি চিন্তার কিছু নেই, আমরা দুজন একসাথে আছি। আল্লাহ তো আছেন, ইনশাল্লাহ কিছু হবে না।’
বর্তমানে যুদ্ধবিরতির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপে। ফলে আবার মাঠে গড়াতে পারে পিএসএল ও আইপিএল। রিশাদের সেই মাঠে ফেরার ইচ্ছেও রয়েছে। ‘খেলার ইচ্ছে সবসময় আছে। যদি পিএসএল আবার শুরু হয় বা দুবাইতে হয়, তাহলে যাওয়ার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ’, বলেন পাঁচ ম্যাচ খেলা এই তরুণ লেগস্পিনার। অন্যদিকে নাহিদের পিএসএলে এখনও অভিষেক হয়নি।
বিজ্ঞাপন
এর আগে কাশ্মিরের পেহেলগামে পর্যটক হত্যাকাণ্ডের পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনা যুদ্ধ পর্যন্ত গড়ায়, যার প্রভাব পড়ে দুই দেশের ঘরোয়া ক্রিকেট লিগে।