ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি, পুনরায় আইপিএল শুরু নিয়ে যা বলছে বিসিসিআই

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কয়েকদিনের সীমান্ত উত্তেজনা ও ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোন হামলার পর স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে সম্পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। এই উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে চলতি বছরের ভারতীয় প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) এক সপ্তাহের জন্য সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছিল। ভারতীয় ও বিদেশি ক্রিকেটাররা ইতিমধ্যেই নিজ নিজ দেশে ফিরে গেছেন।

তবে অস্ত্রবিরতির ঘোষণার পর আবারও আইপিএল শুরু হওয়ার সম্ভাবনা জেগেছে। ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, দ্রুত টুর্নামেন্ট পুনরায় শুরু করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সব দলই তাদের বিদেশি খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফকে ভারতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। 

ভারত সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে ১৫ মে এর আগে-পরে ফের মাঠে গড়াতে পারে আইপিএল। বিসিসিআই ও আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানা গেছে।

আইপিএল ফের শুরু হলে, বিদেশি ক্রিকেটাররা ভারত ফিরে আসার অনুমতি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। ইতিমধ্যে বেশিরভাগ বিদেশি ক্রিকেটার নিজ নিজ দেশে ফিরে গেছেন। এই অবস্থায় বিকল্প হিসেবে বিদেশের মাটিতে আইপিএল শেষ করার কথাও ভাবা হচ্ছে। দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) চিফ এক্সিকিউটিভ রিচার্ড গোল্ড ইতিমধ্যে বিসিসিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং ইংল্যান্ডে আইপিএলের বাকি অংশ আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন।

অন্যদিকে দেশের মধ্যেই সীমিত কিছু নিরাপদ শহরে টুর্নামেন্ট শেষ করার পরিকল্পনাও বিসিসিআইয়ের বিবেচনায় আছে। ক্রিকইনফোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই ও হায়দরাবাদ; এই তিন শহরকে ভেন্যু হিসেবে বেছে নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে, যেখানে টুর্নামেন্টের বাকি ১৬টি ম্যাচ আয়োজন করা যেতে পারে।

এছাড়া চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে বিপুল পরিমাণ লজিস্টিকস এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজন করাও। কেননা যদি এক সপ্তাহের মধ্যেই টুর্নামেন্ট শুরু হয়, তাহলে তা দ্রুত শেষ করতে হবে। কারণ মে ২৯ থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ডের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হচ্ছে। অপরদিকে, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৩-২৫ ফাইনাল শুরু হবে ১১ জুন, যেখানে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা।