কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার জবাবে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়েছে ভারত। পাল্টা জবাবে পাকিস্তানও সীমান্তে হামলা চালিয়েছে। এই দ্বিপাক্ষিক সংঘর্ষের উত্তেজনা শুধু ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে না, এর প্রভাব পড়তে পারে পুরো দক্ষিণ এশিয়ার ক্রীড়াঙ্গনেও, বিশেষ করে বাংলাদেশের ওপর।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ এশিয়া কাপ এবং ভারতের আসন্ন বাংলাদেশ সফর এখন শঙ্কার মুখে। ভারত-পাকিস্তানের এই সামরিক উত্তেজনা পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলেছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বর্তমান পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকলে সূচি হেরফের কিংবা স্থগিত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সামনে রয়েছে ব্যস্ততম আন্তর্জাতিক সূচি। ১৭ ও ১৯ মে সংযুক্ত আরব আমিরাতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। এরপর ২৫ মে থেকে ৩ জুন পর্যন্ত পাকিস্তানে পাঁচ ম্যাচের একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে, যা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা লাহোর ও ফয়সালাবাদে।
তবে ভারতের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার জেরে পাকিস্তানে সফর কতটা নিরাপদ ও সম্ভাব্য হবে, তা নিয়ে এখনই প্রশ্ন উঠছে। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে, যখন জানা গেছে ইউরোপগামী বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে চলতে শুরু করেছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আনুষ্ঠানিকভাবে এ নিয়ে এখনো কোনো ঘোষণা না দিলেও বোর্ডের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সম্ভাব্য জটিলতা বিবেচনায় মানসিক প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে। বিসিবি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখছে এবং প্রয়োজনে বিকল্প পরিকল্পনা গ্রহণ করবে।
পাকিস্তান সিরিজের পর বাংলাদেশ দলের শ্রীলঙ্কা সফর এবং জুলাই মাসে পাকিস্তানের বাংলাদেশ সফর রয়েছে সূচিতে। এরপরই শুরু হবে ভারতের বাংলাদেশ সফর, যা ১৩ আগস্ট থেকে শুরু হওয়ার কথা। সবমিলিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার এই রাজনৈতিক অস্থিরতা পুরো ক্রিকেট সূচিতেই অনিশ্চয়তা ছড়িয়ে দিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ফলে বাংলাদেশের জন্য সামনে সময়টা হতে পারে অনেকটাই অস্থির ও পরিকল্পনা-ভিত্তিক।

