আইপিএলের ১৮তম আসরের পর্দা উঠেছে ২২ মার্চ। এরই মধ্যে গ্রুপ পর্বের ৭০টি ম্যাচের মধ্যে ৫১টি মাঠে গড়িয়েছে, প্রতিটি দল অন্তত ১০টি করে ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। মুম্বাই এবং রাজস্থান ১১টি করে ম্যাচ খেলেছেন। এখন পর্যন্ত প্লে-অফে জায়গা করে নিতে কে কোথায় দাঁড়িয়ে, কাকে কী করতে হবে। চলুন দেখে নিই দলগুলির অবস্থা কেমন।
এই মুহূর্তে শীর্ষ চারে রয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, গুজরাট টাইটান্স, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, এবং পাঞ্জাব কিংস। এই চার দল এখনও প্লে-অফে জায়গা করে নেওয়ার দৌড়ে রয়েছে। মাঝামাঝি অবস্থানে থাকা দিল্লি ক্যাপিটালস ও লখনউ সুপার জায়ান্টস খুব কাছাকাছি রয়েছে এবং তারাও প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে। তবে তাদের জন্য প্রতিটি ম্যাচে ধারাবাহিকতা রক্ষা করাই হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তলানিতে অবস্থান করছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং চেন্নাই সুপার কিংস, দুই দলই মৌসুম থেকে ছিটকে গিয়েছে ইতিমধ্যে।
বিজ্ঞাপন
প্লে-অফে যেতে যার সামনে যে সমীকরণ-
১. মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স– ১১ ম্যাচ, ১৪ পয়েন্ট
বাকি ৩ ম্যাচের মধ্যে অন্তত ১টি জয় পেলেই প্লে-অফ নিশ্চিত। শীর্ষ দুইয়ে থাকতে হলে আরও ২ জয় দরকার।
২. গুজরাট টাইটান্স – ১০ ম্যাচ, ১৪ পয়েন্ট
বাকি ৪ ম্যাচে ১টি জয়েই প্লে-অফ নিশ্চিত হতে পারে, তবে শীর্ষ দুইয়ে থাকতে হলে কমপক্ষে ২ জয় প্রয়োজন।
৩. রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু– ১০ ম্যাচ, ১৪ পয়েন্ট
১ জয়েই প্লে-অফ অনেকটা নিশ্চিত। শীর্ষ দুইয়ে যেতে হলে আরও ২ ম্যাচ জিততে হবে।
বিজ্ঞাপন
৪. পাঞ্জাব কিংস– ১০ ম্যাচ, ১৩ পয়েন্ট
৪ ম্যাচে অন্তত ২ জয় পেলে প্লে-অফের ভালো সম্ভাবনা থাকবে। ৩ জিতলে নিশ্চিত বলা যায়।
৫. দিল্লি ক্যাপিটালস– ১০ ম্যাচ, ১২ পয়েন্ট
বাকি ৪ ম্যাচে ২ বা তার বেশি জয় পেলে টপ চারের লড়াইয়ে থাকবে। নেট রান রেট ইতিবাচক হওয়ায় তাদের বাড়তি সুবিধা আছে।
৬. লখনউ সুপার জায়ান্টস– ১০ ম্যাচ, ১০ পয়েন্ট
অন্তত ৩ জয় দরকার বাকি ৪ ম্যাচে। বড় ব্যবধানে জয় পেয়ে নেট রান রেটে উন্নত করতে হবে প্লে অফের জায়গা নিশ্চিত করতে।
৭. কলকাতা নাইট রাইডার্স– ১০ ম্যাচ, ৯ পয়েন্ট
শেষ ৪ ম্যাচে সবকটিতে জয় পেলে ১৭ পয়েন্টে পৌঁছাবে, যা প্লে-অফের জন্য যথেষ্ট হতে পারে। হারলেই সুযোগ কমে যাবে।
৮. রাজস্থান রয়্যালস– ১১ ম্যাচ, ৬ পয়েন্ট
শেষ ৩ ম্যাচ জিতলেও ১২ পয়েন্ট হবে সেটিও অন্যদের ফলাফলের উপর নির্ভর করবে। সম্ভাবনা খুবই কম।
৯. সানরাইজার্স হায়দরাবাদ– ১০ ম্যাচ, ৬ পয়েন্ট
প্লে অফ দিয়ে ছিটকে গিয়েছে
১০. চেন্নাই সুপার কিংস– ১০ ম্যাচ, ৪ পয়েন্ট
প্লে অফ দিয়ে ছিটকে গিয়েছে

