এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এলিটের সেমিফাইনালে চমক দেখাল জাপানি ক্লাব কাওয়াসাকি ফ্রন্টেলে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর আল নাসরকে ৩-২ গোলে হারিয়ে ক্লাব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেছে তারা। ম্যাচের শেষ দিকে সাদিও মানে ও আয়মান ইয়াহিয়ার গোলের চেষ্টায়ও আর রক্ষা হয়নি আল নাসরের। হতাশার সুরেই শেষ হলো তাদের এশিয়ান অভিযান।
কাতারের আল সাদকে কোয়ার্টার ফাইনালে হারিয়ে দারুণ ছন্দে ছিল কাওয়াসাকি। আত্মবিশ্বাস নিয়েই তারা সেমিফাইনালে নামে এবং ১০ মিনিটেই গোল করে চমকে দেয় স্বাগতিক জেদ্দার দর্শকদের। দুর্দান্ত এক ভলিতে বল জালে পাঠান তাতসুয়া ইতো।
বিজ্ঞাপন
মানের গোলে সমতা, রোনালদোর চেষ্টাও ব্যর্থ
২৮ মিনিটে আল নাসরের হয়ে সমতা ফেরান সাদিও মানে। তবে বলটি কাওয়াসাকি ডিফেন্ডার মারুয়ামার গায়ে লেগে দিক বদলে জালে ঢোকে। এরপর রোনালদো হেড ও অ্যাকরোব্যাটিক ওভারহেড কিকে গোলের চেষ্টা করেন, কিন্তু কাওয়াসাকির রক্ষণ দেয়াল হয়ে দাঁড়ায়।
বিরতির আগে আবারও এগিয়ে যায় কাওয়াসাকি
প্রথমার্ধের একেবারে শেষভাগে আবারও গোল করে এগিয়ে যায় কাওয়াসাকি। আল নাসরের গোলরক্ষক বেন্তোর সেভ থেকে ছিটকে আসা বল রিবাউন্ডে কাজে লাগান ইউতো ওজেকি। ফলে বিরতিতে যাওয়ার আগেই ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় জাপানি ক্লাবটি।
ইনাগার গোলে ফাইনাল নিশ্চিত
দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে আল নাসর। তবে ৭৬ মিনিটে কাওয়াসাকির বদলি মিডফিল্ডার এরিসন নিখুঁত পাস বাড়ান আকিহিরো ইনাগাকে, যিনি ঠান্ডা মাথায় গোল করে ব্যবধান ৩-১ করে ফেলেন। ৮৭ মিনিটে দূরপাল্লার এক শটে আয়মান ইয়াহিয়া গোল করে আল নাসরকে কিছুটা আশা দেখালেও সেটি আর কাজে আসেনি।
শেষ মুহূর্তে রোনালদোর দুই প্রচেষ্টা, কিন্তু জালের দেখা নেই
ইনজুরি টাইমে সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন রোনালদো। দুটি প্রচেষ্টাও নেন তিনি, কিন্তু কাওয়াসাকির গোলকিপার জং সাং-রিয়ং অবিশ্বাস্য সেভ করে তাকে গোলবঞ্চিত করেন।
বিজ্ঞাপন
এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এলিটে ইতিহাস গড়ল কাওয়াসাকি
এই জয়ে কাওয়াসাকি ফ্রন্টেলে নতুন ফরম্যাটের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম জাপানি ক্লাব হিসেবে ফাইনালে উঠল। এটি এশিয়ান ফুটবলে তাদের এক বড় অর্জন।
অন্যদিকে বিপুল অর্থ খরচ করে রোনালদো, মানের মতো তারকা নিয়ে দল গড়েও হতাশাজনকভাবে বিদায় নিল আল নাসর। এবারও সৌদি অধ্যায়ে শিরোপার স্বাদ অধরাই থেকে গেল পর্তুগিজ মহাতারকার।

