আগের ম্যাচে দারুণ লড়াই করেও মাত্র ২-১ গোলের ব্যবধানে তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে হেরে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু আজ সেই গোছালো ফুটবলের ছাপ হারিয়ে এক হালি গোল হজম করেছে লাল সবুজের দল। স্বাগতিক মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ৪-১ গোলের ব্যবধানে হেরে মাঠ ছেড়েছে হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার শিষ্যরা।
আগে থেকেই প্রথম দুই ম্যাচ হেরে এশিয়া কাপ থেকে বাদ পড়া এক প্রকার নিশ্চিত ছিল বাংলাদেশের। তবে পাঁচ সেরা রানার্স আপের মধ্যে থেকে অসম্ভবকে সম্ভব করে মূল পর্বে জায়গা করে নেওয়ার যে হিসাব ছিল সেটাও আজ মিলিয়ে গেল।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে কুয়ালালামপুরের বুকিত জলিল জাতীয় স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ। গত ম্যাচে ভালো ফুটবল উপহার দিয়ে এ ম্যাচেও দুর্দান্ত কিছু দেখার আশায় ছিল বাংলাদেশের সমর্থকেরা।
কিন্তু হয়েছে উল্টোটা, প্রথমার্ধে দুই আর দ্বিতীয়ার্ধেও সমান দুই, মোট এক হালি গোল খাওয়ার বিপরীতে মাত্র ১ গোল শোধ করতে পেরেছেন জামাল ভূঁইয়ারা।
বাংলাদেশের প্রাপ্তির খাতায় অর্জন শুধু আগের ম্যাচ ও আজকের ম্যাচ মিলিয়ে প্রতিপক্ষের জালে দেওয়া দুই গোল।
আজকের ম্যাচে শুধু মালয়েশিয়ার ১১ জন খেলোয়াড় নয়, গোটা স্টেডিয়ামের অর্ধ লক্ষাধিক মালয়েশিয়ান দর্শক ছিল প্রতিপক্ষ। তাই যেন খেই হারিয়ে নিজেদের খুঁজতেই ম্যাচের ৯০ মিনিট পার করে দিয়েছেন সাজ্জাদ-রাকিবরা। বাংলাদেশ আজ যে কয়টি আক্রমণ শানিয়েছে তার প্রায় সবগুলোই ফিনিশিংয়ের অভাবে জালের বাইরে দিয়ে গেছে। বিপরীতে গোল খেয়েছে এক হালি।
বিজ্ঞাপন
ক্যাবরেরার দল খানিকটা যে লড়াই করেছে তা প্রথমার্ধেই। যদিও শুরু থেকেই ম্যাচে নিজেদের আধিপত্য ধরে রেখে খেলেছে স্বাগতিকেরা। বল দখল, আক্রমণ, পাসিং ফুটবল সব কিছুতেই এগিয়ে ছিল মালয়েশিয়া। ম্যাচের ১০ মিনিটের মাথায় নিশ্চিত গোল খাওয়া থেকে দলকে বাঁচান গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। তবে ১৬ মিনিটে রেফারির বিতর্তিক সিদ্ধান্ততে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন স্বাগতিক দলের সাফাই রসিদ। স্পট কিক নেওয়া বলের দিকেই ডাইভ দিয়েছিলেন জিকো। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। তার হাত ছুঁয়ে বল জড়ায় জালে।
পিছিয়ে পরার পরও ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় আজ আরও একবার দেখায় বাংলাদেশ। ৩১ মিনিটে ম্যাচে হেড থেকে লক্ষ্যভেদ করে সমতা আনেন ইব্রাহিম। তবে এর ঠিক সাত মিনিট পরেই ডিয়ন কুলস আবারও স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন। বাম দিক থেকে কুলসের নেয়া শট থেকে এ গোলে যেন কিছুটা অবদান ছিল জিকোর। খানিকটা দেরিতে ডাইভ দেন তিনি। তবে এর আগে কয়েকটি দারুণ সেভে দলকে বাঁচান কয়েকবার।
প্রথমার্ধে তাই বাংলাদেশ লড়াই করেও ২-১ গোলে পিছিয়ে ছিল। তবে বিরতির পর নেমেই আবারও ছন্নছাড়া বাংলাদেশের দেখা মিলে।
৪৭মিনিটে স্কোরলাইন ৩-১ করে মালয়েশিয়া। বাংলাদেশের রক্ষণভাগের দুর্বলতা আরও স্পষ্ট হয়। ৭৩ মিনিটেই জালে চতুর্থবারের মতো বল জড়াতে প্রতিপক্ষের রক্ষণ ও গোলরক্ষকের ভুল সহায়তা করে স্বাগতিকদের। ৪-১ গোলে শেষ হয় ম্যাচ।
নিজেদের শেষ ম্যাচে হেরে কোনো পয়েন্ট ছাড়াই দেশে ফিরছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে এই গ্রুপের অন্য দল স্বাগতিক মালয়েশিয়া গ্রুপের রানার্স আপ হয়ে বাছাই পর্বে সেরা পাঁচ রানার্স আপের মধ্যে থেকে এশিয়া কাপের টিকিট কেটেছে। তবে বাংলাদেশ এবারের বাছাই পর্বে দারুণ কিছু মূহুর্ত উপহার দিয়েছে ।
এসও

