আইপিএলের ১৮তম আসরের পর্দা উঠেছে ২২ মার্চ। এরই মধ্যে গ্রুপ পর্বের ৭০টি ম্যাচের মধ্যে ৪৩টি মাঠে গড়িয়েছে, প্রতিটি দল অন্তত ৯টি করে ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। গুজরাট, দিল্লি, পাঞ্জাব, কলকাতা ৮টি করে ম্যাচ খেলেছেন। এদিকে চেন্নাই সুপার কিংস এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জন্য প্লে-অফে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে গেছে। এখন পর্যন্ত প্লে-অফে জায়গা করে নিতে কে কোথায় দাঁড়িয়ে, কাকে কী করতে হবে। চলুন দেখে নিই দলগুলির অবস্থা কেমন।
গুজরাট টাইটান্স- আট ম্যাচের মধ্যে ছয়টিতে জিতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে শুভমন গিলের নেতৃত্বাধীন গুজরাট। বাকি ছয়টি ম্যাচ রাজস্থান, হায়দরাবাদ, মুম্বাই, দিল্লি, লখনউ ও চেন্নাইয়ের বিপক্ষে। যেখানে তিনটি ম্যাচ জিতলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে প্লে-অফ।
বিজ্ঞাপন
দিল্লি ক্যাপিটালস- দিল্লিও গুজরাটের মতো আট ম্যাচে ছয়টি জিতে ১২ পয়েন্টে রয়েছে। প্রথম চারে থাকতে হলে তাদেরও অন্তত তিনটি ম্যাচে জয় দরকার। বাকি ম্যাচগুলি বেঙ্গালুরু, কলকাতা, হায়দরাবাদ, পাঞ্জাব, গুজরাট ও মুম্বইয়ের বিপক্ষে।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু- তালিকায় তিন নম্বরে থাকা বেঙ্গালুরু নয়টি ম্যাচে ১২ পয়েন্ট অর্জন করেছে। বাকি পাঁচটি ম্যাচ থেকে অন্তত তিনটিতে জয় পেলে প্লে-অফ নিশ্চিত জায়গা করতে পারবে তারা। মুখোমুখি হবে দিল্লি, চেন্নাই, লখনউ, হায়দরাবাদ ও কলকাতার বিপক্ষে।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স- আসরের শুরুতে খারাপ খেললেও পরপর চারটি ম্যাচ জিতে ফর্মে ফিরেছে হার্দিক পান্ডিয়ার দল। নয়টি ম্যাচ খেলে ১০ পয়েন্ট রয়েছে তাদের। বাকি পাঁচটি ম্যাচে চারটি জিততে পারলে প্লে-অফে পৌঁছতে পারবে তারা। পরবর্তী ম্যাচে নামবে লখনউ, রাজস্থান, গুজরাট, পাঞ্জাব ও দিল্লির বিপক্ষে।
পঞ্জাব কিংস ও লখনউ- পাঞ্জাব ও লখনউ; দুই দলই যথাক্রমে আট ও নয়টি ম্যাচে পাঁচটি করে জিতেছে। ১০ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে থাকা এই দুই দলেরই অন্তত চারটি করে ম্যাচ জিততেই হবে। তাতে প্রথম চারে জায়গা করে নিতে পারে।
বিজ্ঞাপন
কলকাতা, হায়দরাবাদ ও চেন্নাই- কলকাতা এখনও পর্যন্ত মাত্র তিনটি ম্যাচে জয় পেয়েছে। বাকি ছয়টি ম্যাচের অন্তত পাঁচটিতে জিততেই হবে তাদের লড়াইয়ে টিকে থাকতে। হায়দরাবাদ ও চেন্নাই উভয় দলই তিন ও দুইটি ম্যাচ জিতেছে। তাদের এখন থেকে বাকি সব ম্যাচ জিতলেও ১৪–১৬ পয়েন্ট পর্যন্ত পৌঁছতে পারবে। অর্থাৎ, প্লে-অফের দৌড়ে টিকে থাকতে হলে অলৌকিক কিছু ঘটাতে হবে তাদের।
রাজস্থান রয়্যালস- মাত্র দু’টি ম্যাচ জিতে তালিকার নবম স্থানে রয়েছে রাজস্থান। বাকি পাঁচটি ম্যাচে জিতলেও তাদের সর্বোচ্চ পয়েন্ট হবে ১৪। অধিনায়ক রিয়ান পরাগ নিজেও স্বীকার করেছেন, প্লে-অফ এখন প্রায় অসম্ভব।
আইপিএলের ইতিহাস বলছে, সাধারণত ১৪টি ম্যাচের মধ্যে ৮টি জয়, অর্থাৎ ১৬ পয়েন্ট হলে প্লে-অফে খেলা নিশ্চিত হয়। তবে ১৭টি আসরের মধ্যে ১০ বার ১৪ পয়েন্ট পেলেও দলগুলো প্লে-অফে উঠেছে। এমনকি ২০০৯ সালের ডেকান চার্জার্স এবং ২০১০ সালের চেন্নাই সুপার কিংস ১৪ পয়েন্টে পেয়ে প্লে-অফে উঠে চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল। ২০১৯ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ মাত্র ১২ পয়েন্টে প্লে-অফে উঠেছিল। যা আইপিএলের ইতিহাসে সর্বনিম্ন পয়েন্টে প্লে-অফ নিশ্চিত করার নজির।
শেষ ২৮টি ম্যাচে প্রতিটি দলের জন্যই প্লে-অফের দৌড়ে রয়েছে। কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে, তবে হিসেব এখনও খোলা। এখন দেখা যাক শেষ হাসি কারা হাসে।

