সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

১২০ কোটি নয়, ২৫০ কোটি টাকা ট্রান্সফার করেছে বিসিবি!

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫০ এএম

শেয়ার করুন:

১২০ কোটি নয়, ২৫০ কোটি টাকা ট্রান্সফার করেছে বিসিবি!

বাংলাদেশ ক্রিকেটে বিতর্ক যেন থামছেই না। নানা সংকটের মধ্যেই এবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আর্থিক কার্যক্রম। সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিসিবি সভাপতির বিরুদ্ধে ওঠে বড়সড় আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ। দাবি করা হয়, বোর্ডের অনুমোদন ছাড়াই ফারুক আহমেদ প্রায় ১২০ কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যাংকে স্থানান্তর করেছেন। 

তবে দেশের আরেকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উঠে আসে ভিন্ন চিত্র। অভিযোগে উল্লেখ করা অঙ্কের চেয়েও দুই গুণ বেশি অর্থ, গত আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়কালে আর্থিক নিরাপত্তা ও অধিক মুনাফার লক্ষ্য নিয়ে একটি বড় ধরনের এফডিআর (ফিক্সড ডিপোজিট রিসিপ্ট) পুনর্বিন্যাস করেছে। 


বিজ্ঞাপন


এ সময়ে মোট ১৪টি ব্যাংকে স্থানান্তর করা হয়েছে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংক থেকে অর্থ সরিয়ে অপেক্ষাকৃত নিরাপদ এবং উচ্চ মুনাফা প্রদানকারী ব্যাংকে তা সংরক্ষণ করা।

প্রতিবেদনটির তথ্য অনুসারে, প্রথম ধাপে আইএফআইসি এবং মিডল্যান্ড ব্যাংকের মতো হলুদ তালিকাভুক্ত ব্যাংক থেকে ১২ কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়া হয় মধুমতি ব্যাংকে। যেখানে ইন্টারেস্ট রেট ছিল আগের চেয়ে ২-৫% বেশি। এরপর আরও একাধিক ধাপে লাল ও হলুদ তালিকাভুক্ত ব্যাংক থেকে অর্থ সরিয়ে নেওয়া হয় নিরাপদ ব্যাংকগুলোতে।

এ প্রক্রিয়ায় শুধু ইন্টারেস্ট হার বাড়েনি, বরং বিসিবি পেয়েছে ১২ কোটি টাকার স্পন্সরশিপ এবং ২৫ কোটি টাকার অবকাঠামো উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি। অর্থাৎ, আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি বোর্ডের ভবিষ্যৎ উন্নয়নেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এই সিদ্ধান্ত, এমনটায় জানা যায়।

এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি করা হচ্ছিল, বিসিবির সভাপতি ফারুক আহমেদ এককভাবে ১২০ কোটি টাকা স্থানান্তর করেছেন। তবে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এই তথ্য ভুল এবং বিভ্রান্তিকর। এফডিআর স্থানান্তরের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ায় জড়িত ছিলেন বিসিবির ফাইন্যান্স কমিটির প্রধান এবং আরেকজন প্রভাবশালী পরিচালক।


বিজ্ঞাপন


এ প্রসঙ্গে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘২৩৮ কোটি টাকা। আমি কোথাও সাইন করি না। টাকাগুলো যে গেছে ওখানে, একটা নিউজ আসছে কেউ জানে না এটা হলো ওটার অ্যানসার। সবগুলা ২-৫% বেশি ইন্টারেস্ট রেটে দেয়া হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, ‘রেড জোন থেকে গ্রিন আর ইয়োলো জোনের ব্যাংকে নিয়ে গেছি টাকা। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে আছে ১২ কোটি টাকা। এদের থেকে আমি স্পন্সর পেয়েছি ১২ কোটি টাকার কাছাকাছি, আর প্রতিশ্রুতি পেয়েছি আরও ২৫ কোটি টাকার ইনফ্রাস্ট্রাকচার বানায় দিবে।’

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর