চলতি বছরে নিজেদের প্রথম টেস্ট সিরিজ খেলতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে লাল বলের ক্রিকেটের লড়াইয়ে টাইগারদের প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে। আগামী ২০ এপ্রিল মাঠে গড়াবে প্রথম টেস্ট, সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।
বাংলাদেশের প্রধান কোচ হিসেবে কদিন আগেই বিসিবির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেছেন সিমন্স। নতুন চুক্তির পর জিবাবুয়ে সিরিজ দিয়েই কাজ শুরু করছেন ক্যারিবীয় এই কোচ। বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টেস্ট সিরিজের দুটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে সিলেটে। ধারণা করা হচ্ছে, এবারের সিরিজে খেলা হবে স্পোর্টিং উইকেটে। ফলে সেখানে সাফল্য পেতে পারেন পেসাররা। সেক্ষেত্রে জিম্বাবুয়ের পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি বাংলাদেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারেন বলে মনে করছেন বাংলাদেশ কোচ।
বিজ্ঞাপন
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘পেসারদের পক্ষে উইকেট থাকলে বিশ্বের যেকোনো দলের বিপক্ষেই সে (মুজারাবানি) হুমকি। তার উচ্চতা অনেক বেশি, এটা তাকে ভিন্নরকম সুবিধা দেয়।’
তবে মুজারাবানির বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা টাইগার ব্যাটারদের সাহায্য করবে বলে মনে করেন সিমন্স, ‘তার বিপক্ষে ছেলেরা (আগেও) খেলেছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও দেখা হয়েছে। ফলে ধারণা আছে তার সম্পর্কে। কীভাবে খেলতে হবে নিশ্চয়ই সেই ধারণা হয়ে যাবে।’
পেস সহায়ক উইকেটে মুজারাবানির মতোই নাহিদ রানাও সুবিধা পাবেন। এই পেসারকে নিয়েও তাই আলোচনা উঠেছে। আসন্ন টেস্টে গতিময় এই পেসার বাংলাদেশের জন্য এক্স ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারেন কি না এমন প্রশ্নে বাংলাদেশ কোচ বললেন, ‘এটা মুজারাবানির মতোই ব্যাপার। তারা তাদের মতো করে ব্যাটারদের বেকায়দায় ফেলতে পারে, যার জন্য প্রায় সব পেসারই মুখিয়ে থাকে। ঠিক জায়গায় বল করতে পারলে অবশ্যই জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের চ্যালেঞ্জে ফেলতে পারে।’
তবে নাহিদ রানার গতি নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন বলে জানিয়ে দিয়েছেন জিম্বাবুয়ের অভিজ্ঞ ব্যাটার শন উইলিয়ামস। সংবাদ সম্মেলনে এই ব্যাটার বলেন, ‘শেষ কয়েকটা বছরে যেভাবে তাদের (বাংলাদেশের) পেস অ্যাটাক গড়ে উঠেছে এবং যাদের মধ্যে থেকে এখন বাছাই করতে হয় তা দুর্দান্ত। এবং তাদের এই পরিবর্তনটা দেখে আমি খুব খুশি। তবে এখন বিশ্বে অনেকেই বেশি গতিতে বল করে। শুধু একজন না। আমরা প্রস্তুত।’

