আইপিএলের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকার মতো এক নাটকীয় ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ১৬ রানে হারিয়ে নজির গড়েছে পাঞ্জাব কিংস। সর্বনিম্ন স্কোর ডিফেন্ড করে জয় তুলে নিয়েছে রিকি পন্টিংয়ের দল। মুল্লানপুরে ১১২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ৯৫ রানেই গুটিয়ে যায় কলকাতা, ১৫.১ ওভারে।
পাঞ্জাবের চমকপ্রদ বোলিংয়ে নেতৃত্ব দেন যুজভেন্দ্র চাহাল (৪/২৮) ও মার্কো জানসেন (৩/১৭)। ব্যাটিং ব্যর্থতার পর দুর্দান্ত বোলিং ও ফিল্ডিংয়েই ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয় পাঞ্জাব।
বিজ্ঞাপন
"আমার বয়স ৫০ বছরের, এই বয়সে এমন ম্যাচ আর চাই না!", এমন দুর্দান্ত জয়ের পর পাঞ্জাবের বলেন প্রধান কোচ রিকি পন্টিং। তিনি বলেন, "এখনও আমার হার্টবিট বেড়ে আছে। এমন রোমাঞ্চ আর চাই না। তবে ছেলেদের লড়াইটা ছিল অসাধারণ। ১১২ রান ডিফেন্ড করে জেতাটা সত্যিই অবিশ্বাস্য।"
তিনি বলেন, “মাঝ বিরতিতে আমরা ছেলেদের বলেছিলাম, এমন ছোট লক্ষ্য তাড়া করাটাই মাঝে মাঝে সবচেয়ে কঠিন হয়। উইকেটটা সহজ ছিল না, পুরো ম্যাচেই বল থেমে আসছিল।”
পাঞ্জাবের এমন জয়ে বড় অবদান রাখা চাহালকে পন্টিং ম্যাচ শেষে জানান, কাঁধের চোট নিয়েও খেলেছেন চাহাল। “ম্যাচের আগে ফিটনেস টেস্ট দিয়েছিলেন ভারতীয় এই স্পিনার। ওকে ডেকে চোখে চোখ রেখে জিজ্ঞেস করলাম, ‘তুমি ঠিক আছো?’ সে বলল, ‘কোচ, একদম প্রস্তুত আছি। আমাকে নামান।’ এরপর যা করল, সত্যিই অনন্য।”
বিজ্ঞাপন
পন্টিং বলেন, “ব্যাটিং আমাদের খুবই বাজে ছিল। শট নির্বাচন, এক্সিকিউশন, কিছুই ঠিক ছিল না। কিন্তু ফিল্ডিংয়ে নামার পর যেভাবে ছেলেরা বিশ্বাস আর এনার্জি দেখিয়েছে, সেটাই আমাদের বদলে দিয়েছে। এমন লড়াই দেখে আমি গর্বিত।”
“এমন জয় দলকে ভেতর থেকে বদলে দিতে পারে। বিশ্বের খুব কম মানুষই বিশ্বাস করেছিল, আমরা এই ম্যাচ জিততে পারি। কিন্তু আমরা পেরেছি। সব কৃতিত্ব খেলোয়াড়দের”, বলেন, পন্টিং
পন্টিং জানান, নতুন বল হাতে আরশদীপ নয়, জানসেন ও বার্টলেটকে ব্যবহার করা ছিল কৌশলগত সিদ্ধান্ত। “ম্যাচ-আপ বিবেচনায় ওদের দিয়ে শুরু করাই ছিল ঠিক সিদ্ধান্ত।”টস জিতে ব্যাট করতে নেমে পাঞ্জাব ১৫.৩ ওভারে ১১১ রানে অলআউট হয়। প্রিয়াংশ আর্য (২২ রান) ও প্রভসিমরন সিংহ (৩০ রান) ঝড়ো সূচনা এনে দিলেও, হার্শিত রানা (৩/২৫), নারিন (২/১৪) ও চক্রবর্তীর (২/২১) দারুণ বোলিংয়ে ব্যাটিং ধসে পড়ে।
জবাবে কলকাতাও ব্যাটে সুবিধা করতে পারেনি। অঙ্কৃশ রঘুবংশী (৩৭) ও আন্দ্রে রাসেল (১৭) লড়াই করার চেষ্টা করলেও চাহাল-জানসেনদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৯৫ রানেই গুটিয়ে যায় দলটি। এই জয়ে পাঞ্জাব ৬ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে। ৭ ম্যাচে ৩ জয়ে কেকেআর আছে ষষ্ঠ স্থানে।