চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথম লেগে ৪-০ গোলের জয় পায় বার্সেলোনা। গতকাল ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগে ৩-১ গোলে হেরেছে কাতালানরা। তবুও দুই লেগ মিলে ৫-৩ গোলের জয়ে ছয় বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে পা রাখে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। বার্সার এমন সাফল্যকে দলগত বলছেন কোচ ফ্লিক।
জার্মান কোচ বলেন, ‘আমার মনে হয় এখানকার সবাই এ মৌসুমে দলের পারফরম্যান্সকে স্বীকার করবেন এবং সবাই সেটার প্রশংসা করবেন। আজকের আমাদের খেলা সেরা ছিল না। আমি এ বিষয়ে প্রশ্নগুলো বুঝতে পারি, কিন্তু মনে হয় আমাদের এখনও খুশি হওয়ার কারণ আছে।’
বিজ্ঞাপন
‘হারের পর ড্রেসিংরুমেও খুব একটা ভালো পরিবেশ ছিল না। যখন আমি তাদের বললাম, আমরা সেমিফাইনালে উঠেছি, তখনই কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে। তবে অবশ্যই, খেলোয়াড়েরা নিজেদের কাছ থেকে এটাই আশা করে। তারা প্রতিটি খেলা জিততে চায়। আজ তারা একটু হতাশ, তবে আমার মনে হয় এ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাওয়ার আনন্দই জয়ী হবে।’
ডর্টমুন্ডের ভূমিকা নিয়ে ফ্লিক আরও বলেন, ‘আমরা দুটি খেলা খেলেছি। প্রথমটিতে ৪-০ গোলে জিতেছি এবং এখানে আমরা ৩-১ গোলে হেরেছি। আমার মনে হয় আমরা সেমিফাইনালে পৌঁছানোর যোগ্য ছিলাম। ডর্টমুন্ড আমাদের জীবন কঠিন করে তুলেছিল। এখানকার তাদের আয়োজন অসাধারণ ছিল, কিন্তু আমরা শেষ চারে উঠে এসেছি।’
এই হারে কাতালান দলটির সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ২৪ ম্যাচের অপরাজেয় যাত্রায় ছেদ পড়ল। ২০২৫ সালে প্রথম হারের তেতো স্বাদ পেল তারা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সবশেষ ২০১৮-১৯ মৌসুমে সেমিফাইনাল খেলেছিল বার্সা। এরপর আর কোয়ার্টার ফাইনালের গণ্ডি পেরোতে পারেনি তারা। তবে চলতি মৌসুমে দারুণ ছন্দে আছে তারা। লা লিগার পাশাপাশি ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের লড়াইয়ে শুরু থেকেই দাপট দেখাচ্ছে তারা।