মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

জুলাই অভ্যুত্থানের সময় পার্কে ঘোরাঘুরির ছবির ব্যাখ্যা দিলেন সাকিব

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪৯ পিএম

শেয়ার করুন:

জুলাই অভ্যুত্থানের সময় পার্কে ঘোরাঘুরির ছবির ব্যাখ্যা দিলেন সাকিব

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিয়ে কোনো মন্তব্য না করায় শুরু থেকেই সমালোচনা শুনতে হয়েছে বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে। এমনকি তোপের মুখেও পড়েছেন দেশ সেরা এই অলরাউন্ডার। গত বছর ৫ আগস্ট তার দলীয় সরকার পতনের পরও চুপ ছিলেন সাকিব। ক্রিকেটের নানা প্রসঙ্গে তিনি মুখ খুললেও জুলাই-আগস্টের কথা নিয়ে সেভাবে ব্যাখা করেননি তিনি। অবশেষে সে সময়ের গঠনা নিয়ে সম্প্রতি দেশের একটি ইংরেজি দৈনিকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন টাইগার অলরাউন্ডার। 

দেশের পটপরিবর্তনের পর সেই সময়ে সাকিবের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। জুলাইয়ে পুরো দেশ যখন আন্দোলনে উত্তাল, তখন সাকিব ও তার স্ত্রীর কানাডায় সাফারি পার্কে ঘুরার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিয়ে থাকেন। সাফারি পার্কের সেই ঘোরাঘুরির ছবি ব্যাখা দিয়ে সাকিব বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমি তখন বেশ কিছুদিন দেশের বাইরে ছিলাম। প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রে মেজর লিগ ক্রিকেট (এমএলসি) খেলতে গেলাম, তারপর কানাডায়। ছবিটি কানাডায় তোলা। আমি নিজে এটি পোস্ট করিনি। তবুও, আমি এর দায়ভার নিচ্ছি। এটা একটা পূর্বপরিকল্পিত পারিবারিক ভ্রমণ ছিল।’ 


বিজ্ঞাপন


‘এখন বুঝতে পারছি, হ্যাঁ, একজন পাবলিক ফিগার হিসেবে আমার আরও সচেতন হওয়া উচিত ছিল। আমি এটা স্বীকার করছি। তবে আমার মনোযোগ সব সময় ক্রিকেটের দিকে ছিল—সংসদ সদস্য হওয়ার আগে এবং পরেও। আমাকে কখনো রাজনীতিতে জড়িত হতে বলা হয়নি। আমাকে সব সময় বলা হয়েছে, "শুধু ক্রিকেট খেলো।" তাই আমি সেদিকেই মনোযোগ দিয়েছি।’

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমি ভাবিনি এটা (ছবিটা) এত ছড়িয়ে পড়বে। প্রতিক্রিয়া শুরু হওয়ার পর, আমি বুঝতে পেরেছিলাম পরিস্থিতি কতটা গুরুতর। অনেকে আমাকে বলেছে, ওই সময়ে ওই ছবি দেখে তারা কষ্ট পেয়েছে। এখন বুঝতে পারছি, ওটা একটা ভুল ছিল। এমনকি অন্যরাও একই রকম জিনিস পোস্ট করলেও, আমারটা বেশি মনোযোগ পেয়েছে। এটা হয়তো আমি বলেই হয়েছে। তবে আমার আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল।’

সেই সময় কানাডা লিগ খেলতে যেয়ে সমার্থকের সঙ্গে ঝামেল তৈরি হয় সাকিবের। এ প্রসঙ্গে টাইগার অলরাউন্ডার বলেন, ‘আমার মনে হয় সেই লোকটা আমাকে উসকানি দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়েই এসেছিল। অথবা হয়তো সে খুবই হতাশাগ্রস্ত ছিল। সে বারবার জিজ্ঞাসা করছিল, কেন আমি (দেশের ওই অবস্থায়) কিছু করছি না। একপর্যায়ে আমি তাকে জিজ্ঞাসা করি, ‘‘ভাই, আপনি কী করেছেন?’’। সেখান থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। দেখুন, আমি কিছু করেছি কি না, সেটা মানুষ বিচার করবে।’ 

‘কিন্তু কেউ যদি আমাকে বারবার প্রশ্ন করে, আমার কি জবাব দেওয়ার অধিকার নেই? আমি এমনকি তাকে—এবং সেখানে থাকা অন্যদের জিজ্ঞাসা করেছি, আমি কী করতে পারি? আমি তো ওই সময়ের ঘটনাগুলো উপেক্ষা করছিলাম না। আমি শুধু জানতাম না কী করতে হবে, কোনটা কার্যকর হবে। সরকার এবং অন্যরা আমাকে কিছু পোস্ট করতে বলেছিল। কিন্তু তাতে কী লাভ হতো? ওটা কি সাহায্য করত? ওটা কি আগুনে ঘি ঢালত? আমি সব সময় দায়িত্বশীলভাবে কাজ করায় বিশ্বাস করি। আমি যদি সরাসরি পরিবর্তন আনতে না পারি, তাহলে ফাঁকা বুলি আওড়ে কী লাভ!’

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর