দুর্নীতির দায়ে প্রায় দেড় বছর সব ধরণের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ ছিলেন নাসির হোসেন। অবশেষে সেই নিষেধাজ্ঞা কাঁটিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) দিয়ে মাঠে ফিরেছেন জাতীয় দলের সাবেক এই অলরাউন্ডার।
সোমবার (৭ এপ্রিল) ডিপিএলে গাজি গ্রুপ ক্রিকেটার্সের মুখোমুখি হয়েছে রূপগঞ্জ টাইগার্স। এই ম্যাচে রুপগঞ্জের হয়ে মাঠে নেমেছেন নাসির। ১০ ওভার বল করে ৩১ রান দিয়ে ১ উইকেট শিকার করেছেন জাতীয় দলের সাবেক এই অলরাউন্ডার। ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমের সামনে হাজির হয়ে ৩৩ বছর বয়েসী তারকা জানান নিষিদ্ধ থাকলেও তার সময়টা কেটেছে নির্ভার আনন্দে।
বিজ্ঞাপন
নাসির বলেন, 'দেড় বছর বাইরে ছিলাম। বিন্দাস ছিলাম। আর কী বলব (হাসি)। পরিবারের সঙ্গে ছিলাম। ভালো ছিলাম আলহামদুলিল্লাহ্। খেলা মিস করেছি ঠিক আছে। তবে পরিবারের সঙ্গে ছিলাম। ভালো ছিলাম।'
তিনি আরও বলেন, 'অবশ্যই ভালো লাগছে। যেই জিনিসটা মিস করছিলাম, ক্রিকেট খেলা। তাই অবশ্যই খুব ভালো লাগতেছে অনেক দিন পর ক্রিকেট খেলে। এই তো!' জাতীয় দলে ক্যারিয়ার দীর্ঘ না হওয়ার কারণ জানিয়ে নাসির বলেন, 'নিজের ভাগ্য নয়, নির্বাচকদের অপছন্দের কারণে জাতীয় দলের ক্যারিয়ার দীর্ঘ হয়নি।'
টাইগার এই অলরাউন্ডার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার স্বপ্ন নিয়ে বলেন, 'আমার মনে হয় যারা ক্রিকেট খেলে, জাতীয় দলে খেলার জন্যই খেলে। আমিও স্বপ্ন দেখি। এটা বিশ্বাস করি, এখনও সুযোগ আছে। যদি পারফর্ম করতে পারি অবশ্যই জাতীয় দলে খেলতে পারব। আপনি পারফর্ম করলে সেটার মূল্যায়ন যদি ক্রিকেট বোর্ড করে, তাহলে আপনি পারফর্ম করতে পারবেন।'
'যদি দেখেন, যেবার আমি বিপিএল ভালো খেললাম, এরপর কিন্তু আমাকে 'এ' দল বা টাইগার্স বা প্রস্তুতি ম্যাচ- কোথাও আমাকে ডাকেনি। তো আপনি যদি পারফর্ম করার পর এসব জায়গায় না ডাকে, তাহলে জাতীয় দলে কীভাবে খেলবেন? অবশ্যই স্বপ্ন দেখি জাতীয় দলে খেলার। এটা বিশ্বাস করি, পারফর্ম করলে অবশ্যই সুযোগ আসবে।'
বিজ্ঞাপন
সুযোগের ঘাটতি নিয়ে নাসির যোগ করেন, 'আপনি যখন নির্বাচক প্যানেলে থাকবেন... যদি বাইরের দেশে দেখেন, দুই বছর পরপর নির্বাচক প্যানেল বদলায়। ধরুন, আমি নির্বাচক হিসেবে আছি। আমার চোখে কিন্তু সবাইকে সমান ভালো লাগবে না। এটাই স্বাভাবিক। দুই বছর পরপর বদলালে, আমার চোখে যাকে ভালো লাগত না, অন্য কারও চোখে তাকে ভালো লাগতেও পারে। আপনি যদি এখন নয়-দশ বছর ধরে একই জায়গায় থাকেন, যাকে ভালো লাগবে না, তার তো ক্যারিয়ারই শেষ হয়ে গেল প্রায়! আমি মনে করি, আমার ক্ষেত্রে এই জিনিসটা হয়েছে। আমি যদি পাঁচটা সুযোগ পাই, বাকিদেরও পাঁচটা সুযোগই পাওয়া উচিত। এমন না হয় যেন, ওরা ২০টা সুযোগ পেল, আমি পাঁচটা সুযোগ পেলাম।'