চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল ছিল রবিবার। ভারত-নিউ জ়িল্যান্ড মুখোমুখি হয়েছিল ফাইনালে। কিউয়িদের বিরুদ্ধে এক রানে আউট হয়ে গিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। তাঁর গুণমুগ্ধরা হতাশ হয়েছিলেন। ওই দিন পরিবারের সঙ্গে খেলা দেখতে দেখতেই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মত্যু হয় উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়ার বছর চোদ্দোর এক কিশোরীর। ঘটনাচক্রে, কোহলি এক রানে আউট হওয়ার পরই মৃত্যু হয়েছিল তার। পাড়ায় রটে যায়, কোহলির এক রানে আউট হওয়া সহ্য করতে না পেরেই মৃত্যু হয়েছে কিশোরীর।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসরের ফাইনালে মুখোমুখি হয় ভারত-নিউজিল্যান্ড। যেখানে কিউইদের হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলে ম্যান ইন ব্লুরা। সেদিন শিরোপার লড়াইয়ে ১ রানে আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন বিরাট কোহলি। এরপরই খবর চাউর হয় তার আউট হওয়া দেখে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান উত্তরপ্রদেশের এক কিশোরী। এমনটায় জানায় ভারতের একাধিক গণমাধ্যমে।
বিজ্ঞাপন
তবে তার পরিবারের সদস্যরা এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। ভারতীয় গণমাধ্যমে কিশোরীর বাবা অজয় বলেন, বাড়ির সকলে মিলেই খেলা দেখছিলেন। প্রথম ইনিংস শেষে তিনি বাজারে যান। ভারতের ব্যাটিং শুরু হতে প্রিয়াংশী খেলা দেখতে বসে। হঠাৎই তাঁর কন্যা জ্ঞান হারায়। ঘটনাচক্রে, ওই সময় কোহলি ব্যাট করছিলেন। প্রিয়াংশী জ্ঞান হারানোর ঠিক আগের মুহূর্তেই কোহলি এক রানে আউট হয়ে গিয়েছিলেন।
অজয় জানান, বাড়ি থেকে ফোন আসে প্রিয়াংশী জ্ঞান হারিয়েছে। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে প্রিয়াংশীর। এরপরই খবর ছড়াতে থাকে কোহলির এক রানে আউট হওয়া সহ্য করতে না পেরে কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে।
এই তত্ত্ব যখন জোরালো হতে শুরু করেছে, প্রিয়াংশীর বাবা এরপর গণমাধ্যমে জানান, কিশোরী যখন জ্ঞান হারিয়ে পড়ে গিয়েছিল, তখনও বিরাট কোহলি ব্যাটিং শুরু করেননি। তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে কোহলির পারফরম্যান্সের কোনও সম্পর্ক নেই