এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তিন ম্যাচে এক পয়েন্ট পেয়ে গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। এরপর থেকেই টাইগার ক্রিকেটে আলোচনায় বাংলাদেশ দলের দুই সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ভবিষ্যত নিয়ে। গত কিছু দিনে বেশ কবার এমন প্রশ্ন শুনতে হয়েছে বিসিবির কর্তাদের। এটা নিয়ে যখন আলোচনা চলমান, তখনই ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন মুশি।
বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আবেগঘন বার্তায় ১৯ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের ইতি টানেন টাইগার এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ‘আলহামদুলিল্লাহ, যখনই দেশের হয়ে মাঠে নেমেছি, শতভাগের বেশি দেওয়ার চেষ্টা করেছি,’—এমনই অনুভূতির কথা জানিয়ে মুশফিক নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই ঘোষণা দেন।
বিজ্ঞাপন
মুশফিকের অবসর ঘোষণার পর আবেগঘন হয়ে ফেসবুকে ভিডিও বার্তা স্মৃতিচারণ করেন সাবেক টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল। একই সঙ্গে মুশির কাছে সাদা পোশাকে আরও বেশি কিছু চান তামিম। অবসরের সিদ্ধান্ত মুশফিকের জন্য অনেক কঠিন ছিল, জানিয়ে তামিম বলেন, ‘খেলা ছেড়ে দেওয়া ওর জন্য কতটা কষ্ট, আমি ওর কাছের বন্ধু তাই বুঝতে পারি। এটা ওর জন্য অনেক কঠিন।’
মুশফিকের কাছে তামিমের একটি চাওয়া আছে। মুশফিক যেন প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ১০০ টেস্ট খেলার কীর্তি গড়েন। টেস্ট খেলার সেঞ্চুরি থেকে এখনও ৬ ম্যাচ দূরে আছেন তিনি। তামিম বলেন, ‘এখনও তুই একটা ফরম্যাট খেলবি। আমি দোয়া করি তুই ভালো করবি। একশ টেস্ট অন্তত খেলবি যা দেশের কেউ করেনি। আশা করি একশ টেস্ট খেলবি। আমি এখন খুবই আবেগপ্রবণ। বাংলাদেশ তোকে মিস করবে, কোনো দ্বিধা নেই।’
খেলার প্রতি মুশফিকের ডেডিকেশন নিয়ে তামিম বলেন, ‘আমরা এটা নিয়ে অনেক সময় হাসাহাসি করি যে এত কষ্ট করে কীভাবে বা তার ডেডিকেশন খেলার প্রতি, ভালোবাসা। এটা কথায় কোনো দিন বোঝাতে পারব না। আজকে ওর খেলা ছেড়ে দেওয়া কত কষ্টকর আমি যেহেতু ওর কাছের একজন বন্ধু আমি এই জিনিসটা ফিল করতে পারি। যে এটা খুব কঠিন তার জন্য। একটা ফরম্যাটে ক্রিকেটার হিসেবে তো আমি এটা আশা করব যে ১০০তম টেস্ট অবশ্যই খেলবি তুই।’