বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারত

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪ মার্চ ২০২৫, ১০:০৩ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

২০২৩ সালে ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল ভারত। লিগ পর্বের সব ম্যাচে অপরাজিত থেকে ফাইনালে গিয়েছিল রোহিত শর্মার দল। তবে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে শিরোপা খোয়াতে হয়েছিল স্বাগতিকদের। তারই প্রতিশোধ যেন আজ নিলেন রোহিতরা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে আজ অজিদের হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছেন বিরাট কোহলিরা। 

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে এ ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অজিদের অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। স্মিথের ৭৩ রানের পর অ্যালেক্স ক্যারির ৬১ রানের ইনিংসের সুবাদে ৪৯.৩ ওভারে ২৬৪ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ গড়তে পেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কোহলির ৮৪ রানের ইনিংসের সুবাদে ৪৮.১ ওভারে ৫ উইকেট হাতে রেখেই দুর্দান্ত এক জয় তুলে নিয়েছে ভারত। এই জয়ে এবারের আসরে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে ভারত। 


বিজ্ঞাপন


লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতের শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ৩০ রানে শুবমান গিল আউট হওয়ার পর দলীয় ৪৩ রানেই বিদায় নেন রোহিতও। দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়া ভারতের হাল ধরেন কোহলি ও শ্রেয়াস আইয়্যার। এ দুজন মিলে তৃতীয় উইকেটে গড়েছিলেন ৯১ রানের জুটি। এ জুটিতেই চাপমুক্ত হয় ভারত। ৪৫ রান করে আইয়্যার আউট হলেও কোহলি খেলেছেন বড় ইনিংস। 

397656

এরপর অক্ষর প্যাটেলও আউট হন ২৭ রান করে। তবে একপ্রান্তে দলের হাল ধরেছিলেন কোহলি। অক্ষর ফেরার পর কেএল রাহুলকে নিয়ে তিনি গড়েন ৪৭ রানের জুটি। এ জুটিতেই জয়ের সুবাস পায় ভারত। এদিকে কোহলিও ছিলেন সেঞ্চুরির পথে। তবে দলীয় ২২৫ রানে ৮৪ রান করেই সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। 

এদিকে কোহলি ফেরার পর হার্দিক পান্ডিয়াকে সঙ্গে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন রাহুল। শেষদিকে পান্ডিয়া ২৪ বলে ২৮ রান করে আউট হলেও ৪২ রানে অপরাজিত ছিলেন রাহুল। 


বিজ্ঞাপন


397630

এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। ম্যাথু শর্ট চোটে পড়ায় দলে ডাক পেয়েছিলেন কুপার কনোলি। অজি এই ওপেনার টুর্নামেন্টে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে ভালো করতে পারেননি। ৯ বলে ০ রান করে আউট হন তিনি। এদিকে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে দুর্দান্ত পারফর্ম করা ট্রাভিস হেডও আজ বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। 

অজি এই ওপেনার আজও জ্বলে ওঠেছিলেন। আগ্রাসী ইনিংস খেলারই আভাস দিয়েছিলেন তিনি। তবে ৩৩ বলে ৩৯ রান করে তিনি আউট হন বরুণ চক্রবর্তীর বলে শুবমান গিলের মুঠোবন্দী হয়ে। হেড সাজঘরে ফেরার পর মার্নাস আবুশেন ও জশ ইংলিসও দ্রুতই সাজঘরের পথ ধরেন। 

এদিকে ব্যাত হাতে আজ দলের হাল ধরেছিলেন অধিনায়ক স্মিথ। লাবুশেনের সঙ্গে ৫৬ রানের জুটি গড়া স্মিথ এরপর অ্যালেক্স ক্যারির সঙ্গে গড়েন ৫৪ রানের জুটি। ৯৬ বলে ৭৩ রান করা স্মিথ আউট হন দলীয় ১৯৮ রানে। এরপর গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও ফিরেন দ্রুতই।

শেষদিকে অজিদের হয়ে ৫৭ বলে ৬১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন ক্যারি। তার এই ইনিংসের সুবাদেই অল আউট হওয়ার আগে ২৬৪ রানের সংগ্রহ পায় অজিরা। ভারতের হয়ে আজ সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ শামি।   

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন