ভারতের আপত্তির কারণেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির টুর্নামেন্ট হচ্ছে হাইব্রিড মডেলে। রোহিত শর্মার দল সব ম্যাচ খেলছে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ফলে দলটির ভ্রমোণের ধকল নিতে হচ্ছে না। সেই সঙ্গে একই মাঠ, একই ভেন্যুতে, একই উইকেট এবং কন্ডিশনের খেলার বাড়তি সুবিধাও পাচ্ছে দলটি। এই সহজ কথাটা বুঝতে যে রকেটবিজ্ঞানী হওয়ার প্রয়োজন নেই সে কথাই জানিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার রেসি ফন ডার ডুসেন।
ভারত বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে বলে যে বিতর্ক চলছে তাতে এবার যোগ দিলেন ইনজামাম উল হক। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক টেনে আনলেন আইপিএল প্রসঙ্গও। সাবেক এই তারকা ক্রিকেটারের মতে, অন্য দেশের বোর্ডগুলোর উচিত, আইপিএলে ক্রিকেটার না পাঠানো।
বিজ্ঞাপন
চলমান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্বাগতিক পাকিস্তান হলেও ভারত তাদের সব ম্যাচ খেলছে দুবাইয়ে। অন্য দলগুলো যেখানে ভিন্ন কন্ডিশন ও ভ্রমণ ঝাক্কি মোকাবেলা করতে হচ্ছে সেখানে ভারতের সেই অসুবিধা নেই। ভারতের এই সুবিধার কথা বলেছেন অনেক বর্তমান-সাবেক ক্রিকেটার এবং বিশ্লেষক। বলতে গেলে বর্তমান বিশ্ব ক্রিকেট চলেই মূলত ভারতের পয়সায়।
তাই তাদের ছাড়া কোনো আইসিসি টুর্নামেন্ট আয়োজন করাও প্রায় অসম্ভব। ভারতের এমন প্রভাব খাটানোর বিষয়টি মানতে পারছেন না ইনজামামও। পাকিস্তানের সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান সম্প্রতি এক টেলিভিশন আলোচনায় তুলে আনেন আইপিএল প্রসঙ্গ।
'চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির কথা বাদই দিন, আইপিএলে কি হচ্ছে? বিশ্বের শীর্ষ ক্রিকেটাররা আইপিএলে অংশ নেয়, কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটারদের অন্য দেশের লিগে খেলতে দেওয়া হয় না। অন্য দেশের বোর্ডগুলোর উচি, আইপিএলে ক্রিকেটার পাঠানো বন্ধ করে দেওয়া। তারা যদি নিজেদের ক্রিকেটারদের না ছাড়ে, অন্য বোর্ডগুলিরও একই অবস্থান নেওয়া উচিত।'
রাজনৈতিক কারণে ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি পাকিস্তানি ক্রিকেটারদেরও আইপিএলে নেওয়া হয় না। ২০০৮ সালে প্রথম আসরের পর আইপিএলে আর নেওয়া হয়নি পাকিস্তানিদের। এখন শুধু ধারাভাষ্যকার হিসেবে রামিজ রাজাকে আইপিএলে সুযোগ দেওয়া হয় মাঝেমধ্যে।