ওয়েস্ট ইন্ডিজদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হসান শান্তর চোটে নেতৃত্বের দায়িত্ব দেন লিটন দাস। সেই লিটনকে আগামীকাল থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ঢাকা ক্যাপিটালসের অধিনায়ক; ধারণা করা হচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক হিসেবে শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরাকে বেছে নিয়েছে ঢাকা। এদকে লিটন অধিনায়ক না করলেও তিনিই যে ঢাকার মূল হাতিয়ার সেটা সংবাদ সম্মেলনেই পরিষ্কার করলেন অধিনায়ক পেরেরা।
থিসারা পেরেরা বলেন, ‘আমরা সবাই জানি, লিটন আমাদের দলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। সে যদি রান করে তাহলে আমরা এগিয়ে থাকবো। আমরা সবাইকেই সমর্থন দেয়ার চেষ্টা করবো, বিশেষ করে লিটনকে। সে অতীতেও দারুণ করেছে। আমরা কেউই ব্যর্থ হতে চাই না। তবে আমি একটা কথা বলতে পারি লিটন আমাদের ফ্র্যাঞ্চাইজির অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। ব্যাটিং-বোলিং ইউনিট হিসেবে এই মুহূর্তে সবকিছুই ঠিক আছে। লিটনকে অ্যাঙ্করের ভূমিকা দেওয়া হয়েছে।’
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় ও বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে ভালো দল গড়েছে ঢাকা। মুস্তাফিজুর রহমান, লিটন দাস, তানজিদ তামিম, মুকিদুল, সাব্বিরদের সঙ্গে থিসারা পেরেরা, জনসন চার্লস, সাইম আইয়ুব ও শাহনেওয়াজ দাহানিদের মতো বিদেশি ক্রিকেটার দলটিতে আছেন। শেষ মুহূর্তে জাতীয় লিগে দারুণ পারফরম্যান্স করা আলাউদ্দিন বাবুকেও দলে ভিড়িয়েছে তারা।
অধিনায়কত্ব করার মতো অনেকে থাকলেও লঙ্কান অলরাউন্ডার থিসারার ওপরই আস্থা রেখেছে ঢাকা ক্যাপিটালস। যদিও থিসারা বিষয়টিকে সাধারণ ভাবেই নিচ্ছেন, ‘ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে কী হয় সেটা আমরা সবাই জানি। অধিনায়কত্ব এখানে শুধুই তকমা। প্লেয়ার হিসেবে আমরা সবাই অধিনায়কত্ব শিখি। তাই ভাবছি না কে আমাদের অধিনায়ক, কে সিনিয়র প্লেয়ার, কে জুনিয়র। আমরা আমাদের ক্রিকেট ক্যারিয়ার এগিয়ে নেই। এটা শুধুই একটা তকমা।’
বিপিএলের প্রশংসা করে থিসারা বলেছেন, ‘আমি বিপিএলকে হ্যাটস অফ করতে চাই। এখানে অনেক বছর খেলেছি, আমার অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। বিপিএলে একটানা ১১তম আসরে চলে গেছে এটা দেখেই ভালো লাগছে। কিছু দেশ আছে যাদের লিগ এক-দুই বছর হয় এরপর আবার বন্ধ হয়, আবার চালু হয়। প্লেয়ার হিসেবে ওসব টুর্নামেন্টে খেলা আনন্দদায়ক নয়। বিপিএল আয়োজকদের আমি ধন্যবাদ জানাই, তারা গত কয়েক বছর একটানা আসরটি আয়োজন করেছে। তাই বলছি সবগুলো লিগের মধ্যে আমি তুলনা করতে পারবো না। তবে বিপিএলে দারুণ খেলা হয়।’

