সেন্ট কিটসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ধবলধোলাই হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। আগামীকাল ভোর থেকে সেন্ট ভিনসেন্টে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই সংস্করণেও পরিষ্কার ফেভারিট স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশ খেলবে ‘আন্ডারডগ’ হিসেবে।
ইতিহাস, র্যাঙ্কিং কিংবা মুখোমুখি লড়াইয়ের ফল- ক্যারিবীয়দের চেয়ে প্রায়সব জায়গাতেই পিছিয়ে আছে টাইগাররা। দুই দলের জন্যই এই সিরিজটা গুরুত্বপূর্ণ। কুড়ি ওভারের সিরিজটি বাংলাদেশ খেলবে নতুন অধিনায়ক লিটন কুমার দাসের নেতৃত্বে। এর আগে ওয়ানডে সিরিজে টাইগারদের নেতৃত্বে ছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশের নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত চোট নিয়ে মাঠের বাইরে আছেন। এই সিরিজে চাইলে তাকে ফেরানো যেত। শোনা যাচ্ছে নাজমুলকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে। সামনেই আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি এরই জন্য চোটের ঝুঁকি এড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত।
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে অতীত পরিসংখ্যান কথা বলছে স্বাগতিকদের। কেনন এখন পর্যন্ত ১৬ দেখায় ৫ জয় বাংলাদেশের, বিপরীতে ৯ জয় উইন্ডিজদের। এছাড়া দুটি ম্যাচ পরিত্যাক্ত হয়ে থাকে।
আগামীকাল সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় শুরু হবে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি। এরপর ১৮ ও ২০ ডিসেম্বর বাকী দুটি ম্যাচে মাঠে নামবে এই দু'দল। সাম্প্রতিক ব্যর্থতা ভুলে বছরের শেষ সিরিজটা অন্তত জয়ে রাঙাতে চায় ফিল সিমন্স শিষ্যরা। ছোট ফরম্যাটে মাঠে নামার আগে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে কঠিন ম্যাচ হবে বলে জানিয়েছেন অধিনায়ক লিটন কুমার দাস।
তিনি বলেন, ‘সাধারণত টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলো আমাদের জন্য কঠিনই হয়। যেহেতু এটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের হোম গ্রাউন্ডে খেলা, আমাদের জন্য একটু কঠিনই হবে। আমরা চেষ্টা করবো এখান থেকে কীভাবে বের হয়ে আসা যায়, ভালো একটা সিরিজ উপহার দেওয়া যায়।’
বিজ্ঞাপন
ম্যাচের আগের দিন বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ দল অনুশীলন করতে পারেনি। তার আগের দিনের অনুশীলনের রসদ নিয়েই মাঠে নামতে হচ্ছে। লিটন অবশ্য অনুশীলণের ঘাটতি দেখেন না, ‘না, ঘাটতি নেই, গতকালকে আমরা কৃত্রিম আলোতে ফিল্ডিং অনুশীলন করেছি। এই দলের অনেক ক্রিকেটারই ওয়ানডে ও টেস্ট খেলেছে। তারা খেলার মধ্যেই ছিল। দুই একজন খেলোয়াড় হয়তো নতুন। তারা কয়েকটা সেশন অনুশীলন করার সুযোগ পেয়েছে।’
টি-টোয়েন্টি সিরিজে অবশ্য উইকেট কিছুটা ভিন্ন হবে বলেই মনে হচ্ছে লিটনের, ‘প্রথমত বিশ্বকাপের যে উইকেট ছিল, এই উইকেটটার মধ্যে কিছুটা ভিন্নতা দেখা গেছে। গতকালকে যখন অনুশীলন করেছি, উইকেট একরকম মনে হয়নি। তারা হয়তো ভিন্নভাবে প্রস্তুত করেছে। আমরা ওইভাবে চিন্তা ভাবনা করিনি কম্বিনেশন নিয়ে। বেস্ট যে দলটা হবে বাংলাদেশের জন্য, আমরা সেভাবেই দলটা করবো।’
এর আগে টি-টোয়েন্টি সিরিজের কথা উল্লেখ করে সৌম্য সরকার বলেন, ‘ভালো কিছু করার প্রত্যয় নিয়েই মাঠে নামবো আমরা। নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলতে পারলে ফল আমাদের পক্ষেই আসবে (টি-টোয়েন্টি সিরিজে)। দলের ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিন বিভাগই সেরা ছন্দে ফিরতে পারলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ভালো কিছু সম্ভব।’

