প্রতি মাসের সেরা ক্রিকেটারদের আলাদাভাবে পুরষ্কার প্রদান করে থাকে আইসিসি। আজ আইসিসি নভেম্বরের মাসের সেরা খেলোয়াড় হওয়ার দৌঁড়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। যেখানে ‘আইসিসি প্লেয়ার অব দ্য মান্থের’ তিনজনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গায় পেয়েছেন প্রায় দেড় বছর পর ফিরেই পাদপ্রদীপের আলোয় জ্বলে ওঠা বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটার শারমিন আক্তার সুপ্তা। এই তালিকায় টাইগ্রেস ব্যাটারের সঙ্গে লড়বেন দক্ষিণ আফ্রিকার ন্যাডাইন ডি ক্লার্ক ও ইংল্যান্ডের ড্যানি ওয়াট হজ। ছেলেদের তালিকায় রয়েছেন ভারতের পেসার জসপ্রীত বুমরা, দক্ষিণ আফ্রিকার মার্কো ইয়ানসেন ও পাকিস্তানের হারিস রউফ।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ব্যাটে ঝলক দেখিয়েছেন শারমিন আক্তার সুপ্তা। আইরিশ মেয়েদের হোয়াইটওয়াশ করার পথে ব্যাটে বাংলাদেশের মেয়েদের নেতৃত্ব দিয়েছেন। যা দিয়ে আইসিসির নভেম্বর মাসে মেয়েদের সেরা খেলোয়াড়ের দৌড়ে মনোনীত হয়েছেন টাইগ্রেস ব্যাটার।
সিরিজের দুটি ম্যাচ নভেম্বরে খেলেছে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচে ২৮ বর্ষী শারমিনের সংগ্রহ ৬৯.৫০ গড়ে এবং ৯১.৪৪ স্ট্রাইক রেটে ১৩৯ রান। ২৭ নভেম্বর বাংলাদেশের রেকর্ড ১৫৪ রানের জয়ের ম্যাচে তিনি ৮৯ বলে ৯৬ রান করেন। ৩০ নভেম্বর দ্বিতীয়টিতে করেন ৬৩ বলে ৪৩ রান। ২ ডিসেম্বর সিরিজের শেষ ওয়ানডেতেও ধারাবাহিক শারমিন। ৮৮ বলে ৭২ রান করেন। সেটি অবশ্য বিবেচনা করা হয়নি। সিরিজে সর্বমোট ২১১ রান করেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
দক্ষিণ আফ্রিকাকে তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার পথে দারুণ করেছেন ইংল্যান্ডের ড্যানি ওয়াট-হজ। তিন ম্যাচে ৭১ গড়ে ১৬৩.২১ স্ট্রাইকরেটে ১৪২ রান করেন ৩৩ বর্ষী ওপেনার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ হলেও আলো ছড়িয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার নাদিন ডি ক্লের্ক। ব্যাটে তিন ম্যাচে ৮০ রানের পাশাপাশি বল হাতে ৪ উইকেট নেন ২৪ বর্ষী প্রোটিয়া অলরাউন্ডার।
ছেলেদের বিভাগে দ্বিতীবারের মতো এই পুরস্কার জয়ের হাতছানি বুমরাহর সামনে। নভেম্বরেই টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ফিরেছেন। রোহিত শর্মার অনুপস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয়ে স্মরণীয় ভূমিকা রাখেন তিনি। প্রথম ইনিংসে বল হাতে ৩০ রানে নেন ৫ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪২ রানে তিনটি শিকার করে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতের আশা বাঁচিয়ে রাখতে ভূমিকা রেখেছেন।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রোটিয়া পেসার মার্কো ইয়ানসেনের পারফরম্যান্স ছিল আরও নজর কাড়া। ২০২২ সালের পর প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকান হিসেবে এই পুরস্কার জয়ের হাতছানি তার সামনে। প্রথম টেস্টে লঙ্কানদের ২৩৩ রানে হারাতে বল হাতে রেকর্ড গড়া পারফরম্যান্স ছিল তার। প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা ৪২ রানে গুটিয়ে গেছে ১৩ রানে তার ৭ উইকেট শিকারে! পুরো ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে ছিলেন ম্যাচসেরা।