দুবাইয়ে এশিয়া অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিমের টুর্নামেন্টের প্রথম শতকে টাইগারদের এনে দেন চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ। অধিনায়কের শতক ছোঁয়ার দিনে ফিফটি পেয়েছেন ওপেনার কালাম সিদ্দিকি। এই দুইয়ের ব্যাটেই বাংলাদেশের ইনিংসে আসে স্বস্তি। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২২৮ রান। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের তোপে ১৮৩ রানে গুটিয়ে যায় আফগানরা। তাতে ৪৫ রানের জয়ে এশিয়া কাপের যাত্রা শুরু করল টাইগার যুবরা।
২২৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশি বোলারদের তোপে রান তুলতে হিমশিম খেয়েছে আফগানিস্তানের ব্যাটাররা। নবম ওভারে দলীয় ২১ রানে উজাইরউল্লাহ নিয়াজাই মারুফ মৃধার পেসে সাজঘরে ফেরেন ১৯ বলে ৮ রান করে।স এরপর মাহবুব খান ও ফয়সাল খান ৪৫ রানের জুটি গড়ে আফগানদের বিপদ কাটানোর প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। তবে রানের গতি বাড়াতে পারেননি তারা। রাফি উজ্জামান রাফির বলে ৫৩ বলে মাত্র ১৬ রান করে বিদায় নেন মাহবুব।
বিজ্ঞাপন
তৃতীয় উইকেটে ফয়সাল ও নাসির খান ৫০ রানের দারুন এক জুটি গড়েন। আফগানিস্তান ক্রিকেট দল তখনও জয়ের আশায়। কিন্তু ৫৮ বলে ৬ চার, ১ ছয়ে ৫৮ রান করে ফয়সাল সাজঘরে ফেরেন আল ফাহাদের পেসে এলবিডব্লিউ হয়ে। এরপর আর কেউ বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। পরের দিকে নাসির খান ৬০ বলে ১ চারে ৩৪, বরকত ইব্রাহিমজাই ৩৮ বলে ১ চারে ১৯ ও নাজিফউল্লাহ আমিরী ১৯ বলে ৩ চারে ১৭ রান করেন।
কিন্তু বাকিরা দাঁড়াতেই পারেননি। রান তোলার চাপে শেষ ৬টি উইকেট আফগান যুবারা হারিয়েছে মাত্র ২৪ রানে। শেষ পর্যন্ত ৪৭.৫ ওভারে ১৮৩ রানে গুটিয়ে যায় আফগানরা। পেসার ইকবাল হোসেন ইমন ও আল ফাহাদ ৩টি করে উইকেট নেন।
এর আগে ব্যাটে নামা বাংলাদেশ যুবাদের শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় তিন রানে ওপেনার জাওয়াদ আবরার ফিরে যান খালি হাতে। দ্বিতীয় উইকেটে হাল ধরেন আজিজুল ও কালাম। ১৪২ রানের জুটি গড়েন দুজনে। ১৪৫ রানে কালাম সিদ্দিকী ফিরে যান ১১০ বলে ৬৬ রান করে।
বাকিদের কিউ আলো ছড়াতে না পারলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে দলকে টেনে নেন আজিজুল। সেঞ্চুরি পূর্ণ করে ২০৪ রানের সময় ফিরে যান। টাইগার অধিনায়ক আটটি চার ও চারটি ছক্কায় ১৩৩ বলে ১০৩ রান করেন। পরে ২২৮ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।
বিজ্ঞাপন
আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে আব্দুল আজিজ, নূরীস্তানি ওমরজাই ও খাতির স্তানিকাজাই দুটি করে উইকেট নেন। আল্লাহ মোহাম্মদ গজনাফর নেন এক উইকেট।