আবুধাবি টি-টেন লিগ ঘিরে ফিক্সিংয়ের সন্দেহ আরও ঘনীভূত হচ্ছে। ৩ দিনের ব্যবধানে ফের আলোচনায় এসেছে ম্যাচ গড়া-পেটার ইস্যু। বোলারের অস্বাভাবিক নো বল দেয়ার পর এবার ঘটেছে ৩ বলে ৩০ রান দেয়ার ঘটনা।
ফিক্সিংয়ের ইস্যু প্রথম আলোচনায় আসে গত ২২ নভেম্বর এক ম্যাচে অস্বাভাবিক এক নো বল দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। স্যাম্প আর্মি ও নিউইয়র্ক স্ট্রাইকার্স ম্যাচে বিশাল এক নো বল দিয়েছিলেন হযরত বিলাল নামের এক পেসার।
বিজ্ঞাপন
স্যাম্প আর্মির এই পেসার বোলিংয়ের সময় এক পা ছিল পপিং ক্রিজের এক ফুটের বেশি বাইরে। স্বভাবত পেসারদের এতো বড় নো বল ঘটনা দেখা যায় না। অস্বাভাবিক এই ‘নো’ বল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সাবেক অস্ট্রেলীয় ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার।
সেই বলকে ঘিরে প্রথম ফিক্সিংয়ের ইস্যু আলোচনায় আসার পর এবার ঘটেছে ৩ বলে ৩০ রান দেয়ার ঘটনা। দিল্লী বুলস ও বাংলা টাইগার্সের মধ্যকার ম্যাচে এমন কাণ্ড হয়েছে। ৩ বলে ৩০ রান দেয়ার বোলারটি আবার সাকিব আল হাসানের দল বাংলা টাইগার্সের দাসুন শানাকা।
বিজ্ঞাপন

শানাকা নবম ওভারে বোলিংয়ে আসলে প্রথম বলেই ৪ মারেন নিখিল চৌধুরী। এরপরের ৩ বল নো করেন লঙ্কান এই বোলার। এই দুই বলে আবার চারও হাঁকিয়েছেন নিখিল। ফলে এই দুই বলে ৫ রান করে আসে। একই ওভারে শানাকার দ্বিতীয় বৈধ ডেলিভারিতেও চার মারেন নিখিল। ভারতীয় এই ব্যাটার ওভারের তৃতীয় বলে মারেন ছক্কা। এরপরের দুই বলও নো বল করেন শানাকা। ওভারে তার তৃতীয় নো বলেও চার মারেন শানাকা। সব মিলিয়ে এভাবে ৩ বলে হয়েছে ৩০ রান।
শানাকার সেই ওভারে মোট রান হয়েছে ৩৩। এদিকে এমন হ-য-ব-র-ল এক ওভার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওঠেছে ফিক্সিংয়ের গুঞ্জণ। এদিকে এই ম্যাচটিতে অবশ্য জয় পেয়েছে সাকিবের বাংলা টাইগার্স, বল হাতে এই ম্যাচে ১ ওভারে ২৫ রান দিয়েছেন সাকিব।

