আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে গতকাল মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। শারজায় সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আফগান অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শহিদী। বল হাতে টাইগারদের শুরুটাও হয়েছিল দুর্দান্ত ৭১ রানেই আফগানদের ৫ উইকেট তুলে নিয়েছিলে লাল-স্পবুজের দলের বোলাররা। তবে এরপর দারুণ জুটি গড়েছিলেন শহিডি ও মোহাম্মদ নবী।
শহিদী-নবীর ১০৪ রানের জুটিই ম্যাচে ফেরায় আফগানদের, এ দুজনের দুর্দান্ত ইনিংসের সুবাদে অল আউট হওয়ার আগে আফগানিস্তান পায় ২৩৫ রানের সংগ্রহ। এদিকে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম উইকেট হারায় দলীয় ১২ রানে। তবে দলকে ভালোভাবেই এগিয়ে নিচ্ছিলেন সৌম্য সরকার ও নাজমুল শান্ত।
বিজ্ঞাপন
তবে দুজনের কেউই নিজেদের ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৩৩ রানে সৌম্য ফেরার পর শান্ত আউট হন ৪৭ রানে। এরপর মেহেদী মিরাজও ফিরেন ২৮ রানে। মিরাজ যখন সাজঘরে ফিরেন তখন টাইগারদের স্কোরবোর্ডে তখন ৪ উইকেট ১২৮ রান। এরপর যেন এলো এক ঝড়, আর সেই ঝড়ে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল টাইগারদের ব্যাটিং অর্ডার।
এরপর আর মাত্র ১১ রান তুলতেই বাকি ছয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তাওহিদ হৃদইয়রা একের পর এক আউট হওয়ায় বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত অল আউট হয় ৩৪.৩ ওভারে ১৪৩ রানে, আফগানিস্তান জয় পায় ৯২ রানের।
এদিকে এমন হারের পর নিজের আউট হওয়াকেই দায়ী করেছেন অধিনায়ক শান্ত। তিনি বলেন, ‘আমার উইকেটটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। আমি থিতু ব্যাটসম্যান ছিলাম, আমার ইনিংস আরও লম্বা হওয়া উচিত ছিল। আফগানিস্তানের সব সময় রহস্য স্পিনার থাকে। আজ সেও (গজনফর) খুব ভালো বোলিং করেছে। আমাদের প্রস্তুতি ভালো ছিল। কিন্তু দিনটা আমাদের ছিল না। আশা করি আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’
শুরুতে বোলাররা ভালো বোলিং করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রথম ১৫–২০ ওভার আমরা খুব ভালো শুরু করেছিলাম। কিন্তু মাঝের ওভারগুলোয় নিজেদের পরিকল্পনা ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারিনি। নবী দারুণ ব্যাটিং করেছে। আমাদের খুব বেশি আক্রমণাত্মক হওয়ার প্রয়োজন ছিল না। উইকেট বোলারদের যথেষ্ট সহায়তা করেছে। কিন্তু শহীদি ও নবী খুবই ভালো ব্যাটিং করেছে।’
